শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে শিক্ষকদের ভূমিকা রাখতে হবে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের সামাজিক আচরণের বিকাশে ও শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) যশোর সার্কিট হাউজে যশোর জেলার মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ভাষাজ্ঞান ও গাণিতিক দক্ষতার কাঙ্ক্ষিত উত্তরণ করতে পারলেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মূল লক্ষ্য অর্জিত হবে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের সামাজিক আচরণের বিকাশে ও শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে।

ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার বিদ্যমান সমস্যার সমাধান এবং কাঙ্ক্ষিত মান উন্নয়ন করা আমাদের লক্ষ্য। বাচ্চারা কি শিখছে- সেটা আমাদের মূল বিবেচ্য বিষয়। এটা যেন আগামীতে আমাদের সকল প্রচেষ্টায় প্রতিফলিত হয়। এ লক্ষ্যে প্রাথমিক স্কুলের আগের ব্যবস্থাপনা কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটির নৈতিক দায়িত্ব প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠনমূলক ভূমিকা রাখা। মাঠপ্রশাসনে কর্মরত কর্মকর্তাদের একইসঙ্গে কর্মকর্তা ও নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব প্রাথমিক শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা।

বিজ্ঞাপন

উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার পরিসর অনেক ব‍্যাপক ও বিস্তৃত। জন্মের পর থেকে মানুষ প্রতিনিয়ত শিখতে থাকে। শিক্ষা মূলত প্রতিনিয়ত লব্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে ব‍্যক্তির আচরণের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন। প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষকরা বাচ্চাদের সাক্ষরতা শেখায়‌। সাক্ষর হওয়া মানেই নিজের ভাষায় পড়তে, লিখতে ও মনের ভাব প্রকাশ করতে পারা। চারপাশের সবকিছু থেকে বাচ্চারা শিখতে থাকে। সেই সাথে নীতি ও নৈতিকতা শিখতে পারে চারপাশের মানুষদের আচরণ দেখে। শিক্ষকদের আচরণ, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের নৈতিকতা ও আচরণ থেকেও বাচ্চারা নৈতিকতা শিখে।

এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা যশোরের ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতা কারণে সৃষ্ট প্রতিকূল পরিবেশে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সারাবছর লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়ার জন্য কার্যকর আশুপদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আব্দুল হাকিম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, পরিচালক মিজানুর রহমান, উপ-পরিচালক ফরহাদ হোসেন, বিভাগীয় উপ-পরিচালক ড. মোঃ শফিকুল, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আশরাফুল বক্তব্য রাখেন।