আজ প্রকাশ হচ্ছে ১০ বছর ধরে লেখা আবুল হায়াতের আত্মজীবনী

  • মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত

বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত

বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। ১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন তিনি। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তার আত্মজীবনী। আজ ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।

অভিনয়, নির্মাণ, লেখালেখি- সব মিলিয়ে সৃষ্টিশীল ও কর্মমুখর এক জীবন আবুল হায়াতের। ৮০ বছরে এসে এখনো নিয়মিত করছেন অভিনয়, চলছে তার কলমও। কিছু লেখার পর যখন প্রকাশিত হয়, তখন লেখক অনেকটা নির্ভার হন।

বিজ্ঞাপন
আবুল হায়াত

আত্মজীবনী প্রকাশের অনুভূতি তিনি এভাবে ব্যক্ত করলেন, ‘একেবারে নির্ভার তো হওয়া যায় না। মানুষ কিভাবে বইটা নেবে, সে দুশ্চিন্তা তো আছে মনের মধ্যে। তবে অত চিন্তা করে লিখিনি। যা মনে এসেছে, লিখেছি। এটা তো ক্লাসিক কিছু না, জীবনের কথাগুলোই লিখেছি। সেদিক থেকে অনেকটা নির্ভার। ১০ বছর ধরে লিখেছি। অবশেষে প্রকাশিত হচ্ছে।’

আবুল হায়াত

দীর্ঘ ১০ বছর কেন লাগলো আত্মজীবনী লিখলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আলসেমি, আর কিছু না। কখনো এক পাতা লিখেছি, আবার ফেলে রেখেছি, কখনো আবার একসঙ্গে ১০ পাতা লিখেছি। কোনো সময় মনে হয়েছে লিখব না। এ কারণেই সময় লেগে গেছে।’

বিজ্ঞাপন

আত্মজীবনী লেখার ভাবনাটা নিয়ে জীবন্ত এই কিংবদন্তি অভিনেতা বললেন, ‘হঠাৎ মনে হয়েছিল, জীবনে তো অনেক ঘটনা আছে। ছোটবেলা থেকে অনেক কিছু দেখেছি। সেগুলো গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেছি বইতে। এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা জানেও না, এ রকম পুরনো অনেক ঘটনা আছে। আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব সবাই উৎসাহ দিয়েছে। পরে ভাবলাম, লিখেই ফেলি।’

আবুল হায়াত

অধিকাংশ মানুষ আত্মজীবনীতে ইতিবাচক ঘটনাগুলোই তুলে ধরেন। নেতিবাচক বিষয় সচেতনে এড়িয়ে যান। তা নিয়ে আবুল হায়াত বলেন, ‘আমি লিখে গেছি ধুমধাম, কোনো চিন্তা-ভাবনা করিনি। হয়তো অনেক কিছু বাদ পড়ে গেছে। আবার কিছু ঘটনা হয়তো মনে হয়েছে, না লিখলেও চলে। তবে যেটা লিখেছি, সেটা থেকে কাটাছেঁড়া করিনি।’

আবুল হায়াত

বয়স ৮০. কিন্তু এখনো অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহেও নাটকের শুটিং করেছেন। আবার আগামী সপ্তাহেও শিডিউল দেওয়া আছে। তবে আগের মতো প্রতিদিন শুটিং করেন না। আউটডোর শুটিংয়ে বেশি দূর যান না, কাছাকাছি হলে যান। শরীরের দিকটাও খেয়াল রাখতে হয়। এ কারণে সব কাজ করা সম্ভব হয় না তার। এভাবেই বাকী জীবন কাটিয়ে দিতে চান আবুল হায়াত।