ফের সংসারী হতে যাচ্ছেন বাঁধন!
গত ২৮ অক্টোবর ছিলো জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সেদিন তার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উঠে আসে নতুন করে জীবন সাজানোর কথা। বাঁধনের কন্যা সায়রা নাকি চায়, মায়ের জীবনে নতুন সঙ্গী আসুক।
এরপর থেকেই এ নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয়। আবারও একই প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে খোলামেলা কথা বলেছেন বাঁধন। তাতে বোঝাই যাচ্ছে, তিনি বিষয়টি নিয়ে বেশ সিরিয়াস। সব ঠিক থাকলে হয়তো অচিরেই আবারও বিয়ের পীঁড়িতে বসবেন এই অভিনেত্রী।
বাঁধন বলেন, ‘আমার মেয়ে তো এখন একটু বড় হয়েছে। ও আস্তে আস্তে বুঝছে, মায়ের সবকিছুই একা একাই করতে হয়। মাকে একা কষ্ট করতে হয়, যুদ্ধ করতে হয়। সবকিছু দেখে মেয়ের মনে হয়েছে, মায়ের একজন সঙ্গী দরকার।’
তবে এই চিন্তা যে সায়রার মনে সম্প্রতি এসেছে তা নয়। বেশ আগে থেকেই মাকে এ বিষয়ে কনভিন্স করছেন সায়রা। এ নিয়ে বাঁধন বলেন, ‘গত এক-দেড় বছরে মেয়ে আমার এটা বুঝছে। আগে বুঝতাম, আমাকে আমার কাজিনরা ফোন করলেও মেয়ে পছন্দ করত না। বিষয়টা এমন, কাজিন কেন ফোন করছে (হাসি)। মাকে নিয়ে এত অবসেশড, এটা হয়। সাধারণত, সিঙ্গেল পিতা-মাতা হলে এটা আরও বেশি হয়ই। সিঙ্গেল মা-বাবার ছেলে-মেয়েরা এত বেশি অ্যাটাসড থাকে যে ওরা আর অন্য কাউকে তাদের মা-বাবার সঙ্গে সহ্য করতে পারে না। এখন যেহেতু মেয়ে একটু বড় হয়েছে, স্পেস দেয়। আশপাশের মানুষও বলতে থাকে, একজন জীবনসঙ্গীর কথা। মেয়ে আমাকে বোঝে, তারও মনে হয়, মায়ের এটা হয়তো দরকার আছে। আমি আসলে ওভাবে হয়তো চিন্তা করি নাই, একদম অনেস্টলি। এত বছর আমি চিন্তা করিনি। সম্ভবত এখন আমি চিন্তা করছি। কেননা, একজন জীবনসঙ্গী যদি থাকে অসুবিধা তো নাই।’
কেমন জীবনসঙ্গী চান? তা নিয়েও কথা বলেছেন বাঁধন, ‘জীবনসঙ্গীর ক্ষেত্রে আমাকে আমার মতো যে গ্রহণ করবে, সেই জিনিসটা খুব জরুরি। আর এটা আমাদের সমাজে তো খুবই দুর্লভ। এ রকম না যে আশপাশে অজস্র খুঁজে পেয়েছি, সে রকমও না।’
তিনি আরও বলেন, ‘৪০ বছর বয়স পার হয়ে গেছে তো। আমি আগেও বলছি, ৪০ বছরে আমি অন্য রকম একটা জীবন লাভ করছি। তাই এই নতুন জীবনে মনে হয়েছে, একজন সঙ্গী থাকতেই পারে। সঙ্গী ছাড়া তো মানুষ থাকতে পারে না। আমার পুরো জীবনটা সঙ্গী ছাড়াই কেটেছে, অলমোস্ট। আমার জীবনে কখনো সত্যিকারের একজন সঙ্গী পাইনি। সব সময় হয় একজন দানব পেয়েছি, না হলে যে আমাকে অত্যাচার করছে, এ রকম মানুষ পেয়েছি। আমার জীবনে যারা আসছে, সবাই বাধা হিসেবেই আসছে। আমার চলার পথটাকে মসৃণ করতে আসেনি কেউ। এসব মানুষ তো আমার জীবনে থাকতে পারে না, তাই না? এটা সম্ভবও না। তাই ওই অর্থে আমি কোনো জীবনসঙ্গী পাইনি, এটা সত্যি। সব মিলিয়ে এখন মনে হয়েছে, পথচলার একজন সঙ্গী হতেই পারে। তবে একরকম আতঙ্ক থেকেই যায়। এই কারণে ভয়ে জীবনসঙ্গী খোঁজার চেষ্টাও করতে পারি না। ধরেন কাউকে চিন্তা করব, করার আগে এক হাত এগোলে দশ হাত পিছিয়ে যাই। ভাবতে থাকি, না, আসলে দরকার নাই।’
প্রসঙ্গত, খুব শিগগিরই ‘এশা মার্ডার’ ছবির বাকি অংশের শুটিং শুরু করবেন বাঁধন। আগামী বছর নতুন একাধিক কাজ শুরু করবেন।