অনেকদিন ধরেই নতুন সিনেমার খবর দিচ্ছেন না জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় তিনি। মাঝে লম্বা সময় বিদেশে কাটিয়েছেন। নিয়মিত সেখানকার ছবি পোস্ট করেছেন তার সবগুলো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে।
তবে এখন এই অভিনেত্রী দেশেই আছেন। কিন্তু আজ যে ছবিগুলো ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তা যেন বিদেশি আমেজ দিচ্ছে। ফারিয়ার ওয়েস্টার্ন ধাচের খোলামেলা পোশাকের ছবিগুলো যেন শীতের মধ্যে উত্তাপ ছড়াচ্ছে নেট দুনিয়ায়! ছবিগুলোর ক্যাপশনে ফারিয়া লিখেছেন, ‘এলোমেলো চুল, চকচকে চাহুনি- সবমিলিয়ে আমি জানি, আমি দুর্দান্ত।’
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়িকা হলেও উপস্থাপিকা হিসেবে ফারিয়ার ক্যারিয়ার শুরু। গায়িকা পরিচয়েও আলোচনায় আসেন তিনি। অভিনয় থেকে বেশ কিছুটা সময় দূরে থাকলে নতুন বছরে নতুন উদ্যমে শুরু করার প্রত্যয় ব্যস্ত করেছেন ফারিয়া।
নতুন বছর নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ফারিয়া বলেন, ‘বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে অচিরেই আমার নতুন একটি সিনেমার ঘোষণা আসবে। এটি হতে যাচ্ছে বড় ক্যানভাসের সিনেমা। অনেকদিন পর আমার দর্শক চমৎকার একটি গল্পের কাজ পেতে যাচ্ছে। এমন গল্পে আগে কখনো আমাকে দেখা যায়নি।’
বিজ্ঞাপন
এছাড়া ফুয়াদ আল মুক্তাদির মুজা ও মমির সঙ্গে ফারিয়ার তিনটি নতুন গান আসবে নতুন বছর। কাজের পাশাপাশি আবার পড়ালেখায় মন দিতে চান তিনি। এল.এল.এম পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সবকিছু নতুন বছর থেকে শুরু করবেন।
ফারিয়া বলেন, ‘চলতি বছর ভালো-মন্দ মিলিয়ে কেটেছে। তবে নতুন বছরে ইতিবাচক একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। নতুন বছরে সবার মঙ্গল কামনা করছি। বিগত বছরের সব অশুভকে পেছনে ফেলে জীবনকে সবাই নতুনভাবে রাঙাবেন, এটাই প্রত্যাশা। সেই সঙ্গে নিজের জন্য ভালো কিছু প্রত্যাশা করছি। নতুন বছরে নতুন চমক জানাতে পারব আশা করছি।’
একদিকে বক্সঅফিসে ‘পুষ্পা ২’ এর অভূতপূর্ব সাফল্য, অন্যদিকে একের পর এক অঘটন ঘটছে এই ছবিটিকে ঘিরে। তাই নিজের ছবির এতোবড় সাফল্য ভালোভাবে উপভোগই করতে পারছেন না দক্ষিণ ভারতের সুপারস্টার আল্লু অর্জুন।
শুধু তাই নয়, ছবিটিকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া এক নারীর মৃত্যুর জন্য এই অভিনেতাকে জেল পর্যন্ত খাটতে হয়েছে। এবার ‘পুষ্পা ২’ নিয়ে আরেক অঘটন সামনে এলো!
ভারতের বেনারসে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। এক প্রেমিকা তার প্রেমিকের কাছে আবদার রেখেছিলেন ‘পুষ্পা ২’ দেখার। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি সেই প্রেমিক। আর তার জেরে মেয়েটি আত্মহত্যা চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, মেয়েটি তার প্রেমিকের সাথে সিনেমা দেখা নিয়ে তর্কের পরে একটি হোটেলের তৃতীয় তলা থেকে লাফ দেয়। স্থানীয়রা মেয়েটিকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় পুলিশ প্রেমিককে আটক করেছে।
আল্লু অর্জুন-রাশমিকা মান্দানা জুটির ‘পুষ্পা ২’ একের পর এক রেকর্ড ভেঙে চলেছে। ছবিটি মুক্তির ১৪ দিনের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ১৫০০ কোটির বেশি আয় করেছে।
মাদকসংশ্লিষ্টতা নিয়ে তোলপাড় চলছে শোবিজ অঙ্গনে। মাদকাসক্ত মডেল, অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ সংশ্লিষ্ট অনেকেই এখন এসব নিয়ে উদ্বিগ্ন।
জানা গেছে, শোবিজের অনেকেই শুধু মাদক সেবন নয়, মাদক কারবারেও জড়িত। ফলে মাদকসংশ্লিষ্টতার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে- এমন আতঙ্কে ভুগছেন তাদের অনেকেই। অন্যদিকে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া কর্মকর্তাকে হঠাৎ করেই সরিয়ে দেওয়ায় নানা প্রশ্ন উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা নানাভাবে তাদের প্রভাব খাটাচ্ছেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) মহাপরিচালক (ডিজি) খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তলবের জন্য ব্যবস্থা নেবেন তদন্ত কর্মকর্তা।
সূত্র জানায়, মাদকসহ গ্রেপ্তার হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া এক ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে তথ্যপ্রমাণসহ সাফা কবির, মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া, তানজিন তিশা এবং সুনিধি নায়েকের নাম বেরিয়ে আসে। একটি বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তারা নিয়মিত মাদক সংগ্রহ করে আসছিলেন। ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী অরিন্দম রায় দীপকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসছে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
অনেক পরিচিত নায়ক, নায়িকা ও মডেল মাদক সেবন এবং মাদক কারবারে জড়িত বলে জানা গেছে। ঘটনা প্রসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিএনসি ঢাকা মেট্রো উত্তরের সহকারী পরিচালক রাহুল সেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, দীপকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে আমরা কয়েকজন প্রথম সারির অভিনেত্রী ও মডেলের মাদক সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিএনসিসহ একাধিক সূত্র বলছে, গত ৪ ডিসেম্বর এডি রাহুল সেনের নেতৃত্বে রমনা সার্কেলের একটি দল গুলশান ও পল্টন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ট্রেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনলযুক্ত কুশ, ক্যানাবিনলযুক্ত ক্যান্ডি, তরল ক্যানাবিনয়েড, ম্যাজিক মাশরুম, মাদক বিক্রয়ের অর্থসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার কাজী মারুফুল ইসলাম রাজ (২৬) এবং ইসমাইল বেপারী (৩০) গুলশান এবং সাকিব নঈম (২৭) ধানমন্ডি এলাকার উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। তাদের কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদায় করা সম্ভব হয়েছে।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া কাজী মারুফুল ইসলাম রাজ যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করেন। তিনি গুলশানের উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। তার কাছে শোবিজ অঙ্গনের অনেকের মাদক সম্পৃক্ততার খবর মেলে। তবে এর আগে ১৭ অক্টোবর ঢাকা বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন অরিন্দম রায় ওরফে দীপ (২৬)। এ সময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সিসা, এমডিএমএ, এলএসডি, কুসসহ বেশ কিছু মাদক উদ্ধার করা হয়। পরে নারকোটিক্সের একটি বিশেষায়িত টিম দীপকে দুই দিনের রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় দীপের মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং পরীক্ষা করা হয়। এতে জনপ্রিয় কয়েকজন অভিনেত্রীর মাদক সম্পৃক্ততার তথ্য মেলে। এমনকি তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া মাদকের অর্ডারসংক্রান্ত কয়েকটি সুনির্দিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং রেকর্ডও পাওয়া যায়। চ্যাটিংয়ের কয়েকটি ছবি এ প্রতিবেদকের কাছেও রয়েছে।
সূত্র বলছে, দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রের বিরুদ্ধে মাদক কারবারের অভিযোগের ছায়াতদন্ত করছিল একাধিক সংস্থা। মূলত তাকে অনুসরণ করতে গিয়েই একই চক্রের সন্ধান পান তদন্তসংশ্লিষ্টরা। একপর্যায়ে দীপ গ্রেপ্তারের পর তার সেলফোনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সাফা, টয়া, তিশা এবং গায়িকা সুনিধির নাম সেভ করা দেখেই চোখ কপালে ওঠে সংশ্লিষ্ট অনেকের। দীপের সেলফোনেই তাদের নিয়মিত মাদকের অর্ডার দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় সেই সেল নাম্বারগুলো ওই অভিনেত্রীদের, যা নিশ্চিত হন তদন্তসংশ্লিষ্টরা।
শোবিজ অঙ্গনের সঙ্গে জড়িত একাধিক ব্যক্তির মত, শোবিজ তারকারা প্রথমে স্লিমিংয়ের জন্য ইয়াবাসহ বেশ কিছু বিদেশি মাদক নিয়ে থাকেন। একপর্যায়ে তারা আসক্ত হয়ে পড়েন। গত ১০ বছরে মিডিয়া অঙ্গনে কাজ শুরু করেছেন, তাদের বেশির ভাগই মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের নিয়মিত মাদক প্রয়োজন হয়। এদের আবার অনেকে অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। তাদের বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরালও হয়েছে। তবু তারা নির্বিকার। জানা গেছে, বনানী মাঠের পার্শ্ববর্তী একটি রেস্টুরেন্ট, বনানী প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট এর কাছাকাছি একটি ভবনের রুফটপের সিসা বারে নিয়মিত মধ্যরাতে মাদক সেবন করেন শোবিজের অনেক অভিনেতা ও অভিনেত্রী। গুলশান পিংক সিটির পেছনে একটি রেস্টুরেন্টেও নিয়মিত মাদক নেন অনেকে অভিনেতা-অভিনেত্রী। ডিএনসি এবং বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরাও বিষয়টি অবগত। তবে রহস্যজনক কারণে তাদের নীরব থাকতে দেখা যায়।
সূত্র বলছে, ২০২১ সালের ২৭ আগস্ট রাত ৩টার দিকে রাজধানীর গুলশান-২ এবং গুলশান-১ এর মাঝামাঝি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন অভিনেতা শরিফুল রাজ, খায়রুল বাশার, জুনায়েদ বোগদাদী ও অভিনেত্রী নাজিফা তুষি। একাধিক সংস্থার সদস্যরা জানিয়েছিলেন, তারা নেশাগ্রস্ত ছিলেন। শরিফুল রাজ নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তারা গুলশানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এ ছাড়া গত ১০ বছরে শোবিজ অঙ্গনে আসা অনেকেই মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের অনেকেই সেবনের পাশাপাশি মাদক কারবারেও জড়িয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, রাজধানীর গুলশান এবং বনানীকেন্দ্রিক ধনাঢ্য পরিবারের সন্তানদের অনেকেই এমডিএম, এলএসডি এবং কুশ নামের উচ্চ আসক্তিসম্পন্ন মাদকের দিকে ঝুঁকছেন। চোরাইপথে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, থাইল্যান্ডসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ থেকে এসব মাদকের চালান আসছে। স্ল্যাপচ্যাট, মেসেঞ্জার বা হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে এগুলো বিক্রি করা হয়। গোপনীয়তার জন্য বিভিন্ন সাংকেতিক নামে এসব মাদক বিক্রি করা হয়। যেমন এমডিএম ‘ই’ নামে, এলএসডি ‘অ্যাসিড’ এবং এক ধরনের তরল গাঁজা টিএসসি নামে কেনা-বেচা হয়। ইলেকট্রিক সিগারেটের মতো ভেপ আকারে তরল গাঁজা সেবন করা হয়। এসব নতুন পুরাতন মাদকে শোবিজের অনেকেই আসক্ত। উচ্চাকাঙ্ক্ষী তারকারা দ্রুত ধনী হওয়ার জন্য মাদকের কারবারে ঝুঁকছেন। ব্যবসা করতে করতে একসময় নিজেই সেবক হয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া প্রেমে ভাঙন বা সংসারে ভাঙনের কারণেও অনেক নায়িকা মাদকে ঝুঁকছেন।
এদিকে, মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগের বিষয়ে এখনো কেউ কোন কথা বলেননি। শুধু টয়া গণমাধ্যমকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ সত্য নয়। আমাকে এখনো মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে ডাকা হয়নি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
ভারতের অন্যতম সেলিব্রেটি কাপল বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মা। ভক্তরা তাদের জুটিকে আদর করে বিরুশকা নামে ডাকে। একজন বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারের একজন, অন্যজন শীর্ষ স্থানীয় অভিনেত্রী। তারাই কিনা ভারত ছেড়ে লন্ডনে স্থায়ীভাবে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন! এমন দাবি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর।
কোহলি-আনুশকার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তার ছেলেবেলার কোচ রাজকুমার শর্মা জানিয়েছেন, ভারত ছেড়ে লন্ডনে সংসার পাতবেন কোহলি। স্ত্রী আনুশকা শর্মা, কন্যা ভামিকা ও পুত্র অকায়কে নিয়ে সেখানেই থাকবেন তিনি।
রাজকুমার বলেন, ক্রিকেট ছাড়া বাকি সময়টা কোহলি পরিবারের সঙ্গেই কাটাতে ভালোবাসে। অবসরের পরে বাকি জীবনটা ও লন্ডনে কাটাতে চায়।
হঠাৎ করে কেন লন্ডনে যেতে চান কোহলি এমন প্রশ্ন করা হয় এই কোচকে। জবাব তিনি জানিয়েছেন, সেখানে অনেক স্বাভাবিকভাবে জীবন কাটাতে পারেন তিনি। সেই কারণেই এই ভাবনা।
তিনি বলেন, ওখানকার পরিবেশ ওদের ভালো লাগে। ভারতে থাকলে যেভাবে সারাক্ষণ ওদের নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঘুরতে হয় সেটা লন্ডনে দরকার পড়ে না। ওখানে অনেক স্বাভাবিকভাবে জীবন কাটাতে পারে ওরা।
তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত মুখ খোলেননি বিরাট বা আনুশকা। তারা এখন নিজেদের কাজ নিয়েই ব্যস্ত। যদিও আনুশকা বেশ লম্বা বিরতি নিয়েছেন অভিনয় থেকে। ছোট্ট ছেলে ও মেয়েকে সময় দিচ্ছেন তিনি।
জুলাই বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য চ্যারিটি কনসার্ট মাতাতে একদিন আগেই ঢাকায় পৌঁছাবেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান।
আয়োজকরা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রাহাত ফতেহ আলী খানের বিমান অবতরণ করবে। এরপর ২১ ডিসেম্বর আর্মি স্টেডিয়ামে পারফর্ম করবেন তিনি।
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতের পরিবার ও আহতদের পাশে দাঁড়াতে ‘ইকোস অব রেভোল্যুশন’ শিরোনামে একটি চ্যারিটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ নামের একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে।
এতে আয়োজন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী। এই কনসার্ট থেকে আয়কৃত সম্পূর্ণ অর্থ শহীদ ও আহতদের পরিবার নিয়ে কাজ করা কল্যাণমূলক সংস্থা ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এ দান করা হবে।
প্রসঙ্গত, রাহাত ফতেহ আলী খান প্রাথমিকভাবে মুসলিম সুফি হিসেবে ভক্তিমুলক গান গাইতেন। তিনি ওস্তাদ নুসরাত ফাতেহ আলী খানের ভাস্তে এবং ওস্তাদ ফররুখ ফতেহ আলী খান পুত্র। এছাড়াও তিনি পুরাণখ্যাত কাওয়ালি শিল্পী ফাতেহ আলী খানের নাতি।
পাশাপাশি তিনি বলিউডের জনপ্রিয় একজন নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে সুপরিচিত। তার গাওয়া প্রথম বাংলা গান ‘তোমার-ই নাম লেখা’ এবং গানটি লিখেছে বাংলাদেশি গীতিকার রবিউল আউয়াল। গানটি গেয়ে তিনি বাংলাদেশে বেশ প্রশংসিত হয়।