৯-এ খুলনা ১১ তে নিউ ইয়র্কে, চ্যালেঞ্জিং সেই অভিজ্ঞতা জানালেন সামিনা

  • মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সামিনা চৌধুরী । ছবি: শেখ সাদী

সামিনা চৌধুরী । ছবি: শেখ সাদী

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নন্দিত সঙ্গীতশিল্পী সামিনা চৌধুরীকে দেশের দর্শক মিস করছেন বহুদিন। কারণ তিনি গত বছরের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত টানা ছয় মাস ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে।

সামিনা চৌধুরী সেখান থেকে বার্তা২৪.কমকে গতকাল মধ্যরাতে জানালেন, ‘এই ছয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে ডজনখানেক অনুষ্ঠান করেছি। প্রোগ্রামগুলো এমনভাবে সাজানো ছিলো যে চাইলেই আমি দেশে ফিরতে পারছিলাম না। এদিকে দেশের জন্য সত্যি মন পড়ে থাকতো। কিন্তু গান গাইতে গিয়ে প্রবাসী বাঙালী ভাই-বোনের চোখে মুখে যে তৃপ্তি দেখতে পেতাম তখন সবকিছু ভুলে যেতাম অনায়াসেই।’

বিজ্ঞাপন
সামিনা চৌধুরী । ছবি: শেখ সাদী

সামিনা তার অভিজ্ঞতা থেকে বললেন, ‘প্রতিটি শো যে কী ভালো হয়েছে তা বলে বোঝানো যাবে না। টানা দুই তিন ঘণ্টা গাওয়ার পরও দর্শক আমাকে স্টেজ থেকে নামতে দিতে চাইতো না। এই ভালোবাসা অমূল্য একজন শিল্পীর কাছে।’

তবে যেই না তিনি অনুষ্ঠানের মাঝে ১০ টা দিনের ফাঁক পেলেন, অমনি ছুটে আসেন দেশে। নতুন বছরের প্রথম দিনে দেশেই ছিলেন। কারণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আয়োজিত একটি শোয়ের জন্য অনেক আগে তিনি চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। গত ৯ জানুয়ারি খুলনাতে সেই শোতে অংশ নেন সামিনা। ঠিক আর দুদিন পরেই নিউ ইয়র্কের একটি বিশেষ শোতেও তিনি ছিলেন প্রধাণ আকর্ষণ। ফলে সেই শোটিও তাকে ধরতে হবে যে করেই হোক। কিভাবে খুলনা থেকে নিউ ইয়র্কে গিয়ে শো ধরলেন সেই চ্যালেঞ্জিং অভিজ্ঞতাই বর্ণনা করেছেন ফেসবুকে।

বিজ্ঞাপন
সামিনা চৌধুরী । ছবি: শেখ সাদী

সামিনা চৌধুরী লিখেছেন, ‘ব্যাপারটা অন্যরকম চ্যালেঞ্জিং আর দারুণ ছিল। আমি দেশে গেছিলাম ৩০ ডিসেম্বর মাত্র ১০ দিনের জন্য। কারণ ১১ জানুয়ারি নিউ ইয়র্কে শো। ৯ জানুয়ারি খুলনার অনুষ্ঠান শেষ করে সে রাতেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলাম। ১০ তারিখ ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে বাসায় পৌঁছে ফজরের নামাজ পড়ে কিছু খেয়ে একটু ঘুমিয়ে নিলাম। সাড়ে ১১টায় উঠে আবারও বাকি গোছগাছ। বিকেলে এয়ারপোর্ট। সন্ধ্যায় প্লেন ছাড়লো। ১১ তারিখ দুপুরে নিউ ইয়র্ক পৌঁছলাম, প্লেনে আমি তেমন ঘুমাতে পারি না, সেই আমি অনেকটা ঘুম দিয়ে নিজেকে একটু একটু করে স্টেজে ওঠার জন্য প্রস্তুত করতে থাকলাম। প্লেনে গরম পানি আর চা ছিল নিত্যসঙ্গী। ১০ ঘণ্টার ট্রানজিট ছিল দুবাইতে, তবু আসতে তো হবেই। কমিটমেন্ট বলে কথা। আল্লাহকে বললাম, আজকে যেন বরফ না পড়ে, যেন প্লেন ভালোভাবে ল্যান্ড করে, যেন ভালোভাবে গাইতে পারি ইত্যাদি ইত্যাদি। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর কাছে যা যা চাইলাম সব পেলাম। বাসায় ফিরে একটু খেয়ে মেকাপ নিয়ে রওনা হলাম অনুষ্ঠানে। আল্লাহকে ডাকতে ডাকতে পৌঁছলাম নির্দিষ্ট সময়ের ৮ মিনিট আগেই। এটিভি চ্যানেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমি গাইলাম। আমেরিকার নতুন একটি টিভি চ্যানেল এটিভি, খুবই সুন্দর করে অনুষ্ঠানটি করেছে। ধন্যবাদ এটিভি চ্যানেল। ধন্যবাদ আরিফ এত ভালো সাউন্ডের জন্য। আর ভালোবাসা আমার মিউজিশিয়ান ভাইদেরকে। আল্লাহ মহান..’

সামিনা চৌধুরী । ছবি: শেখ সাদী