গতকাল বুধবার গভীর রাতে আক্রান্ত হয়েছেন বলিউড তারকা সাইফ আলী খান। মুম্বাইয়ের পশ্চিম বান্দ্রার নিজের বাসায় এক বা একাধিক দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়েছিল সাইফের ওপর। ছুরি দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে তার শরীরে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন অস্ত্রোপচার চলছে অভিনেতার। এ ঘটনায় সাইফ আলী খানের জনসংযোগ কর্মকর্তা আগেই বিবৃতি দিয়েছেন। এবার মুখ খুললেন সাইফের স্ত্রী কারিনা কাপুর খান।
পুরো ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছেন কারিনা কাপুর খানের জনসংযোগ কর্মকর্তা। কারিনা সেই বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘সাইফ হাতে আঘাত পেয়েছেন। আর তাই হাসপাতালে ওর চিকিৎসা চলছে। পরিবারের অন্য সদস্যরা ভালো আছেন। পুলিশ এরই মধ্যে তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমরা মিডিয়া আর ভক্তদের ধৈর্য রাখার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। অনুগ্রহ করে এ নিয়ে কেউ কোনো গুজব ছড়াবেন না। এ ঘটনায় আপনারা সবাই যে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন ও দুশ্চিন্তায় আছেন, এ কারণে আপনাদের ধন্যবাদ।’
বিজ্ঞাপন
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, গতকাল রাতে এক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কারিনা। তিনি তার বোন কারিশমা কাপুর, অভিনেত্রী সোনম কাপুর, রিয়া কাপুরসহ অন্য বন্ধুদের সঙ্গে একটি আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন। তবে ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন কি না, নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মাধ্যমিকের নবম-দশম শ্রেণীর বাংলা দ্বিতীয়পত্রের পাঠ্যপুস্তকের পেছনের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দ-সম্বলিত গ্রাফিতি পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকায় ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার’ কর্মসূচিতে ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ নামক সংগঠনের হামলার ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
এবার এই হামলার প্রতিবাদ জানালেন দুই বাংলার নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। তিনি আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘'আদিবাসী' নাগরিকদের রক্তে ঢাকার রাস্তা যেভাবে রক্তাক্ত করা হলো, সেটা মর্মান্তিক। এই রক্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জখম আত্মা থেকেই বের হলো। কারণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আদিবাসীরাও শরিক হয়েছিল।
একদিকে আমরা সংবিধানের বৈষম্য দূর করতে চাচ্ছি, অন্যদিকে সংবিধানের দোহাই দিয়ে আদিবাসীদের ওপর হামলা করছি। আমাদের ঈমান ঠিক আছে তো? এ দেশ থেকে সব ধরনের বৈষম্য দূর হোক।’
জয়া আহসান ছাড়াও মেহের আফরোজ শাওন, তানভীন সুইটি, মৌসুমী হামিদসহ অনেক তারকা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ করেছেন।
এদিকে, আজ (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় এই হামলার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটি জেলা শহরের কুমার সুমিত রায় জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণ থেকে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা, রাঙ্গামাটি’র ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা পরিষদের সামনে পর্যন্ত গিয়ে পুনরায় জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণে ফিরে আসে। এরপর রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে একটি সমাবেশ করে। রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ ছিল।
ঢাকায় সমাবেশে হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বলেন, ‘ঢাকার মতো রাজধানী শহরে ‘আদিবাসীদের’ ওপর হামলা একটি পূর্বপরিকল্পিত হামলা। উগ্র-মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সংগঠন ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ সংগঠনটি মূলত আদিবাসীদের পূর্ব-নির্ধারিত কর্মসূচি বানচাল করার হীনউদ্দেশ্যে এ হামলা করেছে। এর দায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনোভাবে এড়াতে পারে না।’
বক্তারা আরো বলেন, ‘পাঠ্যপুস্তকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গ্রাফিটি পুর্নবহাল এবং ঢাকায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের বিচারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো ধরণের আশ্বাস পাওয়া যায়নি। ফলে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বসবাসরত ‘আদিবাসী’ জনগোষ্ঠীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।’
সমাবেশ থেকে অবিলম্বে ঢাকায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায় বিক্ষোভকারীরা। সমাবেশ শেষে রাঙ্গামাটি জেলাপ্রশাসকের (ডিসি) মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ৫ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
শুরু হতে যাচ্ছে পাভেল আরিনের জনপ্রিয় মিউজিক প্লাটফর্ম ‘লিভিং রুম সেশন’-এর দ্বিতীয় সিজন। এবার দেশের পরিমণ্ডল ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক রূপ পেতে যাচ্ছে সংগীতের এ প্লাটফর্ম। চার দেশের শিল্পীর গানে ১৫ দেশের মিউজিশিয়ানদের সাথে নিয়ে বড় কলেবরে গান নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছেন সংগীত পরিচালক ও চিরকুট ব্যান্ডের ড্রামার পাভেল আরিন।
লিভিং রুম সেশানের নতুন যাত্রায় এ আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পাভেল বলেন, ‘দেশের সীমানা পেরিয়ে লিভিং রুম সেশন গানের একটি আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করলো। এ যাত্রায় ক্রিয়েটিভ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টকে সাথে পেয়ে আমি আনন্দিত। কৃতজ্ঞতা জানাই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি।’
পাভেল আরিন জানান, নির্ধারিত বিরতির পর লিভিং রুম সেশনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে গত শনিবার লন্ডনের বিশ্বখ্যাত রেস্তোঁরা দ্য আইভি টাওয়ার ব্রিজে প্রতিষ্ঠানটির সাথে একটি চুক্তিসাক্ষর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাভেল আরীন, সংগীত শিল্পী ও ড্রামার ইমতিয়াজ আলী ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মো: রাহাত আমিন, নির্বাহী পরিচালক শাহ ফরহাদসহ অনেকেই। পরবর্তী তিন সিজনের জন্য লিভিং রুম সেশানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলেও দ্বিতীয় সিজনের প্রস্তুতি আগেই নিয়ে রেখেছেন পাভেল। জানালেন, ইতিমধ্যেই চার দেশের শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পন্ন হয়েছে, আলাপ-আলোচনাও চূড়ান্ত হয়েছে। পাভেল জানান, আন্তর্জাতিক এ ভ্রমণে লিভিং রুম সেশানে হাজির হবে পশ্চিমা বিশ্বের ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শিল্পী ও মিউজিশিয়ানরা। চমক হিসেবে থাকবেন কিছু বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় মেগাস্টারও। তবে, তা এখন চমক হিসেবেই রাখতে চান পাভেল।
পাভেল বলেন, ‘রেকর্ডিং শুরুর পর আমরা শিল্পীর তালিকা প্রকাশ করব। এবার স্বপ্নটা সত্যিই বড় করে দেখেছি। আশা করি সেই স্বপ্নের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারব। পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান আমাকে সেভাবেই আশ্বস্তও করেছেন।’
পৃ্ষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর চেয়ারম্যান মো: রাহাত আমিন একজন স্বনামধন্য প্রবাসী ব্যবসায়ী। ইওরোপ, দুবাই ও বাংলাদেশে তার ব্যবসার বিস্তার ঘটিয়েছেন খুব অল্প সময়েই। তার প্রধান কার্যালয় যুক্তরাজ্যের লন্ডনে। ২০০৯ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে ইভেন্ট অরগানাইজার হিসেবে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় আড়ালে থেকে কাজ করতে পছন্দ করি। কাজের মধ্য দিয়ে মানুষের কাছে যেতে, মানুষকে জানতে পছন্দ করি। আমার কাছে মনে হয়, মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করতে সংগীতই সবচেয়ে সেরা মাধ্যম। পাভেল আরিনের সাথে আমাদের যে প্রজেক্টটা শুরু হয়েছে তা সফল হতে যাচ্ছে বলেই আমি বিশ্বাস করি। আমরা সবাই মিলে দারুণ একটা জার্নি শুরু করতে যাচ্ছি। সকলের শুভেচ্ছা ও প্রার্থনা কামনা করছি।’
লিভিং রুম সেশনের প্রথম সিজনে দেশের কিংবদন্তি শিল্পীদের নয়টি গান নিয়ে হাজির হয়েছিলেন পাভেল। নতুন যাত্রায় এবার ১২টি গান দিয়ে সাজানো হয়েছে দ্বিতীয় সিজন। যথাযথ প্রস্তুতি শেষে এ সিজনের প্রথম গানটি আসছে ঈদ উল আযহা’র উৎসবে প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন পাভেল।
লিভিং রুম সেশনে এর আগে প্রকাশিত হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, সাধক জালাল খাঁ, সতীশচন্দ্র গোঁসাই, শচীন দেব বর্মণ, দূরবীন শাহ, হাসান মতিউর রহমান, আবুল সরকার, গীতকার মোয়াজ্জেম হোসেনের কথায় আলেয়া বেগমের গান প্রকাশিত হয়। প্রখ্যাত গুণী শিল্পী ও তরুণ শিল্পীদের সমন্বিত এ প্লাটফর্মে প্রকাশিত গানগুলোতে দেখা গেছে মুজিব পরদেশী, কনা, ইমরান, ঐশী, কাজল দেওয়ান, জাহিদ নীরব, ইন্নিমা ও মাশা ইসলামকে।
গত বছরের শেষভাগে (২৭ ডিসেম্বর) বিয়ে করেছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রিয়ন্তী উর্বী। আর নতুন বছরের শুরুতে স্বামী সালমান আহমেদকে নিয়ে হানিমুনে উড়াল দিয়েছেন তিনি। শনিবার স্বামীর সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল ছবিটি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন উর্বী।
মালয়েশিয়ার লংকাউই দ্বীপে ফুরফুরে মেজাজে সময় কাটছে। মালয়েশিয়ায় সাড়ে তিন বছর পড়াশোনা করেছেন সালমান। সেই সূত্রেই হানিমুনের গন্তব্য হিসেবে দেশটিকে বেছে নিয়েছেন তারা।
২০২০ সালের শেষভাগে বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন প্রিয়ন্তী উর্বী। ২০২১ সালের মার্চে অনিরুদ্ধ রাসেলের ‘ভেজা বিড়াল’ নাটক দিয়ে অভিনয়ে নাম লেখান।
বিয়ের আগে থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ফেসবুক এক স্ট্যাটাসে বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বর-কনে দুজনেই। জানা গেল বরের পরিচয়ও। প্রিয়ন্তীর স্বামীর নাম সালমান আহমেদ। বর্তমানে ডেইলি স্টার পত্রিকার বিপণন বিভাগে কর্মরত রয়েছেন।
গুলশান আজাদ মসজিদে অভিনেত্রীর বিবাহ কার্যক্রম সম্পন্ন হয় তাদের। তখন দুই পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদমাধ্যমে প্রিয়ন্তী জানান, বছরখানেকের পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব। চলতি বছরে জুলাইয়ে ছিল অভিনেত্রীর জন্মদিন।
বিশেষ দিনটি উদযাপনে কক্সবাজার গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সালমান। সালমানের প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে পারেননি এই অভিনেত্রী। এরপর সবকিছুই পারিবারিকভাবে এগিয়েছে। শুধু অপেক্ষাটা ছিল বিয়ের।
প্রিয়ন্তী উর্বী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর ২০১৯ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন । ২০২০ সালের শেষ দিকে বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। ‘বুক পকেটের গল্প’ ও ক্লোজআপ কাছে আসার গল্পের নাটকে অভিনয় করে নজর কাড়েন অভিনেত্রী।
মাত্র তিন বছরের ক্যারিয়ারে অনেকগুলো বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেছেন তিনি। পাশাপাশি কাজ করেছেন একাধিক নাটক ও ওয়েব সিরিজে।
বুধবার রাতে নবাব পতৌদিদের বাসভবনে এক নৈশভোজের আয়োজন ছিল। কারিনা কাপুর সেখানে অতিথিদের সঙ্গে ব্যস্ত ছিলেন। তার ঠিক ঘণ্টাখানেক বাদেই যে স্বামী সাইফ আলি খানকে এভাবে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে হবে, সেটা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি বেবো। এ যেন দুঃস্বপ্ন! দুষ্কৃতির আক্রমণের পর কী ঘটে? সেই ভিডিও এখন প্রকাশ্যে।
মুম্বাইয়ের বান্দ্রা ওয়েস্টে স্ত্রী কারিনা কাপুর এবং দুই ছেলে তৈমুর ও জাহাঙ্গীরকে নিয়ে থাকেন ছোট নবাব সাইফ। রাত দু'টার দিকে পতৌদিদের ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে এক ব্যক্তি। তার সঙ্গে বাড়ির পরিচারিকার বাকবিতণ্ডা বেধে যায়। আওয়াজ শুনেই ছুটে আসেন সাইফ। তখনই ওই ব্যক্তি সাইফ আলি খানকে ধারাল অস্ত্রের কোপ দেয়। কোপ খেয়েছেন এক কর্মচারীও। ভারতীয় গণমাধ্যমের কিছু প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, একাধিক ব্যক্তি ছিল সেখানে। সময়টা রাত আড়াইটা।
এদিকে, বাসভবনের সেই মুহূর্তের ভিডিও ক্যামেরাবন্দি হয়ে প্রকাশ পেয়েছে পাপারাজ্জি ভাইরাল ভায়ানির ইনস্টাগ্রামে। সেখানে দেখা যায়, কারিনার পরনে ছিল রাতপোশাক। ঢিলেঢালা গোলাপি শার্ট আর পায়জামা। খোলা চুল। অগোছালো অবস্থা। পাগলপ্রায় পরিস্থিতি কারিনার। উদভ্রান্তের মতো এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটছেন। বারবার মোবাইলে চোখ রাখছেন। এসবের মাঝেই বাড়ির পরিচারিকাদের সঙ্গে উদ্বিগ্ন কারিনাকে কথা বলতে দেখা যায়।
জানা গেছে, নৈশভোজের পর নিজের ঘরেই ছিলেন অভিনেত্রী। পরিচারিকার সঙ্গে অনাহূত ব্যক্তির বাকবিতণ্ডা শুনে বেডরুম থেকে বেরিয়ে আসেন সাইফ। বড় বচসা বাঁধে। এর পরই ছোট নবাবকে ছয়বার ছুরির কোপ মেরে পালায় দুষ্কৃতি। ঘটনার পর রক্তাক্ত সাইফকে দেখে ঘাবড়ে যান কারিনা। এরপরই আহত স্বামীকে নিয়ে লীলাবতী হাসপাতালে ছোটেন বেবো।
লীলাবতী হাসপাতালের সিওও ডাক্তার নীরজ উত্তামনি জানিয়েছেন, বান্দ্রায় নিজের বাড়িতে রাত ২টা নাগাদ হামলার শিকার হয়েছেন সইফ। সইফকে মোট ৬ বার ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে। এর মধ্যে দুটি ক্ষত গভীর। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। একটি কোপ সইফের মেরুদণ্ডের একেবারে কাছে, যা গভীর। তাকে নিউরো সার্জেন ও কসমেটিক সার্জেন অপারেশন করেছেন।
এদিকে মধ্যরাতে যে সময় অভিনেতার উপর হামলা হয়, তার কিছুক্ষণ আগেই হাউস পার্টিতে মেতেছিলেন স্ত্রী, অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। হামলার কিছুক্ষণ আগেই ইনস্টাগ্রামে হাউস পার্টির ছবি শেয়ার করেছিলেন কারিনা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দিদি করিশমা কাপুর, অভিনেত্রী সোনম কাপুর ও বন্ধু রিয়া কাপুর। হাউস পার্টির পর মদ্যপানের ছবি পোস্ট করেছিলেন করিশমা কাপুর। ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি এরকম ভয়ংকর কিছু ঘটতে পারে।
ঘটনার পর সাইফকে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অস্ত্রোপচার করা হয়েছে তার। আপাতত স্থিতিশীল তিনি। শেষ হয়েছে কসমেটিক সার্জারিও। চিকিৎসক নীরজ উত্তমনি জানিয়েছেন, আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে সাইফ আলি খানের অস্ত্রোপচার। ইতিমধ্যেই অভিনেতার শরীর থেকে ২-৩ ইঞ্চি একটি ধারালো বস্তু বের করা হয়েছে। চিকিৎসকরা মনে করছেন ওটা ছুরির অংশ। এছাড়া সাইফের স্নায়ুর অস্ত্রোপচারও সফলভাবে শেষ হয়েছে।
হাসপাতালের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, অভিনেতার শরীরে মোট ছ’টি ক্ষত হয়েছে। যার মধ্যে দু’টি ক্ষত গভীর বলে জানানো হয়। এমনকি শিরদাঁড়ার কাছেও আঘাত পেয়েছেন অভিনেতা বলে জানিয়েছে হাসপাতাল। নায়কের পাশাপাশি তাঁর বাড়ির এক পরিচারককেও ছুরি দিয়ে কোপানো হয়। জানা গেছে, তাঁর পরিস্থিতিও এখন স্থিতিশীল।