নতুন শীর্ষ কমান্ড গঠন করল হিজবুল্লাহ, দীর্ঘ যুদ্ধের প্রস্তুতি

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের হামলায় শীর্ষ নেতাদের হারিয়ে হিজবুল্লাহ দক্ষিণ লেবাননে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এছাড়া হিজবুল্লাহ শীর্ষ কমান্ড গঠনের কাজও শুরু করেছে গোষ্ঠীটি।

হিজবুল্লাহর কার্যক্রমের সঙ্গে পরিচিত দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এসব তথ্য জানিয়েছে। 

বিজ্ঞাপন

হিজবুল্লাহর এক শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার জানিয়েছেন, হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার তিন দিনের মধ্যে নতুন একটি কমান্ড সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। ১ অক্টোবর থেকে সেটি কার্যকরও রয়েছে।

এদিকে গত মাসে হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় সংগঠনটির বহু স্থাপনা। তবে হিজবুল্লাহ–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলার পরও সংগঠনটির হাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অস্ত্র রয়েছে। নিজেদের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এখনো ব্যবহার করেনি তারা। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। 

ইসরাইলের থিংকট্যাঙ্ক সংস্থা আলমার বিশ্লেষক ও কর্মকর্তা আভরাহাম লেভিন রয়টার্সকে বলেন, ‘আইডিএফের হামলায় শুধু হিজবুল্লাহর হাইকমান্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, গোষ্ঠীটির অস্ত্রভাণ্ডার, যোদ্ধাবাহিনী ও অন্যান্য সক্ষমতায় কিন্তু এ অভিযানের তেমন প্রভাব পড়েনি।’

হিজবুল্লাহ দক্ষিণ লেবাননে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ছাড়া নতুন এই সামরিক কমান্ড দিয়েই ইসরায়েলে রকেট হামলা ও স্থল যুদ্ধের নির্দেশনা দিচ্ছে ইরানপন্থী প্রতিরোধ যোদ্ধাদলটি। 

এছাড়া হিজবুল্লাহর নতুন নেতৃত্ব গোপনে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির একজন কমান্ডার। তবে সদস্যদের সঙ্গে নতুন নেতারা কীভাবে যোগাযোগ করছেন বা নেতৃত্বে কারা রয়েছেন, সে বিষয়ে কিছুই বলেননি তিনি। নাসরুল্লাহর মৃত্যুর পর হাসেম সাফিয়েদ্দিন তার স্থলাভিষিক্ত হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তবে তিনিও পরে ইসরায়েলের হামলায় নিহত হন। গত ১ অক্টোবর থেকে নতুন কমান্ড গঠনের পর নাসরুল্লাহর স্থলাভিষিক্ত কে হয়েছেন তা নিয়েই এখন জোর আলোচনা চলছে। 

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে স্থলপথে সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এতে করে অনেক হতাহতের পাশাপাশি প্রায় ১২ লাখ লেবাননি নাগরিক বাড়িঘর ছেড়ে অন্য এলাকায় পালিয়ে গেছেন।

অন্যদিকে, হিজবুল্লাহ ৮ অক্টোবর থেকে ব্যাপকভাবে ইসরায়েল অভিমুখে মিসাইল হামলা করে আসছে।

জানা যায়, ইসরায়েলের হামলায় লেবাননে এ পর্যন্ত ২ হাজার ১শ ৪১ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩শ জন আহত হয়েছেন।

এছাড়া ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৪২ হাজার নাগরিক নিহত এবং ৯৮ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।