অধিকাংশ উপকূল থেকে তেল-গ্যাস উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ উপকূল থেকে তেল ও গ্যাস উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই নিষেধাজ্ঞা দেন। অন্যদিকে, ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প।নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে এমন নিষেধাজ্ঞা দিলেন জো বাইডেন। রোববার (৬ জানুয়ারি) এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এএফপি।
গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি ক্ষমতায় এলে গ্যাসের দাম কমানোর লক্ষ্যে দেশীয়ভাবে জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদনের দিকে নজর দেবেন। যদিও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তেল ও গ্যাস উত্তোলনের যে সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্র অনেক আগেই ছাড়িয়ে গেছে ।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন শেষ মুহূর্তে এসে জলবায়ুসংক্রান্ত যে-সব পদক্ষেপ নিচ্ছেন, এই নিষেধাজ্ঞা তার সর্বশেষ উদাহরণ।
বাইডেন যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন, তাতে করে আটলান্টিক মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের পুরো উপকূল, মেক্সিকো উপসাগরের পূর্ব উপকূল, প্রশান্ত মহাসাগরের ক্যালিফোর্নিয়া, ওরেগন ও ওয়াশিংটন উপকূল এবং বেরিং সাগরের আলাস্কা উপকূলের একটি অংশ থেকে তেল ও গ্যাস উত্তোলন করা যাবে না। যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ উপকূলে তেল ও গ্যাস উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়ে বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এসব উপকূল থেকে তেল ও গ্যাস উত্তোলন করা হলে আমাদের প্রিয় স্থানগুলোর অপূরণীয় ক্ষতি হবে। আর যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানির চাহিদা পূরণের জন্য এর প্রয়োজনও নেই।’
উল্লেখ্য, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে তেল ও গ্যাসের জন্য অনুসন্ধান চালানোর একটি সীমা রয়েছে। এই সীমা অনুযায়ী বিশ্বে যত তেল ও গ্যাস মজুত রয়েছে, তার ৬০ শতাংশ এবং কয়লা মজুতের ৯০ শতাংশ উত্তোলন করা যাবে না। বিশ্লেষকেরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য যে-সব পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে তা নেবেন না, এমন আশঙ্কা থেকেই শেষ মুহূর্তে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছেন বাইডেন।