মমতাজ-শমী কায়সার-তারানা হালিমের বিরুদ্ধে গুম ও হত্যাচেষ্টা মামলা

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মমতাজ, শমী কায়সার ও তারানা হালিম। ছবি: সংগৃহীত

মমতাজ, শমী কায়সার ও তারানা হালিম। ছবি: সংগৃহীত

দুই বছর আগে গুম ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ও অভিনেত্রী শমী কায়সারসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জনৈক বিএনপির কর্মী সৈয়দ হাসান মাহমুদ এ মামলার করেন।

বিজ্ঞাপন

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির মশিউর রহমান রাঙ্গা, পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ।

মামলায় বলা হয়, ১৯৯০ সালের ছাত্র আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বাদী ২০১১ সালের ২১ নভেম্বর তৎকালীন ১৪ দলীয় জোটের নেতা মশিউর রহমান রাঙ্গার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি সি.এম.এম আদালত খারিজ করে। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বাদী মগবাজার নয়াতলা নিজের বাড়ী ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়।

বাদী ২০১৯ সালের সিটি কর্পোরেশন ঢাকা উত্তরের ৩৫নং ওয়ার্ড থেকে জাতীয়বাদী দল বিএনপির পক্ষে কমিশনার পদে নমিনেশন প্রত্যাশী ছিল। এলাকায় প্রচার প্রচারণা শুরু করিলে তাকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য ২০২ সালের ২২ জুন বাদীর উপর হামলা করে দোকানের মালামাল লুটপাট করা হয়।

এছাড়া ওই বছর ২৫ জুন সন্ধ্যা ৬টায় বাদী মগবাজার হতে তার ব্যবসায়িক কাজে রামপুরা ব্রিজে যাওয়ার পথে সাদা পোষাকধারীরা তাকে মাইক্রোবাসে তুলে চোখে কালো কাপড় বেধে ও হাতে হাতকড়া পরিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে হাত পা বেধে মশিউর রহমান রাঙ্গা শমী কায়সার ও তারানা হালিম এর উপস্থিতিতে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। সেখানে ৪ দিন গুম করে রেখে ২৯ জুন হাতিরঝিল রাস্তার আইল্যান্ডের উপরে রেখে যায়। 

এছাড়া ওই বছর ৮ জুলাই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ১৪ দিন গুম রেখে ২১ জুলাই ছেড়ে দেওয়া হয়। ২৬ জুলাই হাতিরঝিল থানার পুলিশ বাদীকে তুলে নিয়ে ডিজিটার নিরাপত্তা আইনে মামলা দেয়।