বাংলাদেশের ফৌজদারী আইন বিশেষজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল এক সমাজী জানিয়েছেন, তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিমের বিশেষ পরামর্শকের দায়িত্ব নিতে পারবেন না।
একটি দৈনিকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়. অ্যাডভোকেট সমাজী ও লন্ডনভিত্তিক গার্নিকা ৩৭ ল’ ফার্মের যুগ্ম প্রধান টবি ক্যাডম্যানকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিমের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এ সংক্রান্তে আমি অবগত নই। যদি প্রতিবেদনটি সত্য হয়, তবে বলবো, আমি পরামর্শকের দায়িত্ব নিতে পারবো না। কারণ ইতোমধ্যে আমি কয়েকজন আসামি যেমন, সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, লে. ক. ফারুক আহমেদ খান ও ড. তৌফিক ই ইলাহীর পক্ষে মামলা লড়তে ফাইল রিসিভ করেছি। ট্রাইব্যুনালে তাদের পক্ষে ওকালতনামা জমাও দিয়েছি। এই পর্যায়ে আমার ওই পদে যোগদান করা অনৈতিক হবে।
তবে আমি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কোনো পক্ষেই মামলা লড়ব না।
বৃহস্পতিবার সংবাদ প্রকাশ হয় যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিমের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে লন্ডনভিত্তিক গার্নিকা ৩৭ ল’ ফার্মের যুগ্ম প্রধান টবি ক্যাডম্যান ও বাংলাদেশের ফৌজদারী আইন বিশেষজ্ঞ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসানুল এক সমাজীকে। এর আগেই তিনি ট্রাইব্যুনালে লড়তে আসামিপক্ষেও কালতনামা জমা দেন। এমন পরিস্থিতিতে গত সোমবার ট্রাইব্যুনালে এজলাসে বিচারকদের উদ্দেশ্য করে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, এহসানুল হক সমাজী প্রসিকিউশনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পাচ্ছেন। তাই তিনি আসামি পক্ষে আজ (সোমবার) যেন মামলা না লড়েন।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করা এ বিজ্ঞ আইনজীবীকে গত ২৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারী করেছিল সরকার। তখন এ নিয়োগের বিরুদ্ধে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ঢাকা আইনজীবীরা বিক্ষোভ করলে তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ওই পদে যোগ দেননি। পরে তার নিয়োগ বাতিল করা হয়।