কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো সামুদ্রিক সাপ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো সামুদ্রিক সাপ

কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো সামুদ্রিক সাপ

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে ভেসে এসেছে একটি সামুদ্রিক সাপ। সোমবার (০৭ অক্টোবর) রাতে সাপটি সৈকতে ভেসে আসে। সৈকতের পানি বিক্রেতা মনির সাপটি দেখতে পেলে একটি পলিব্যাগের ভিতর ঢুকিয়ে বীচকর্মীদের খবর দেয়। পরে তারা বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বোরি) কর্মকর্তাদের খবর দিলে তারা সেটার স্যাম্পল সংগ্রহের জন্য নিয়ে যায়।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের সিনিয়র বিজ্ঞানী অফিসার তরিকুল ইসলাম ধারণা করছেন এই সাপের নাম yellow-lipped sea krait (Laticauda colubrina)। তিনি জানান, মূলত ল্যাটিকাউডা কলুব্রিনা, বা হলুদ ঠোঁটযুক্ত সামুদ্রিক ক্রেইট, প্রাথমিকভাবে অগভীর উপকূলীয় জল, প্রবাল প্রাচীর এবং উপহ্রদগুলিতে বাস করে। এটি প্রায়শই পাথুরে অঞ্চলে পাওয়া যায় এবং স্থলভাগে দেখা যায়। বিশেষ করে সৈকত এবং পাথুরে উপকূলে। এই প্রজাতি সমগ্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল জুড়ে বিচরণ করে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন এং টেকনাফ থেকে ইনানী অঞ্চলের কোরাল ও পাথুরে উপকূলে পাওয়া যায়। তাছাড়া এটি ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া এবং পাপুয়া নিউ গিনির মতো দ্বীপের চারপাশের জলে পাওয়া যায়। ফিজি, টোঙ্গা এবং অন্যান্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের মতো অঞ্চল ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন উপকূল পাওয়া যায়।

ল্যাটিকাউডা কলুব্রিনার বিষ রয়েছে, যা এটি তার শিকারকে, প্রাথমিকভাবে মাছ এবং ঈলকে দমন করতে ব্যবহার করে। বিষটি নিউরোটক্সিক, স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে, তবে এটি সাধারণত মানুষের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে মনে করা হয় না। কামড় বিরল, এবং যদিও সেগুলি বেদনাদায়ক হতে পারে এবং ফুলে যাওয়া এবং বমি বমি ভাবের মতো উপসর্গের দিকে নিয়ে যেতে পারে, কামড়ের ফলে মৃত্যুর ঘটনা অস্বাভাবিক।

যে কোনো বিষাক্ত প্রাণীর মতো বন্য অঞ্চলে এই প্রজাতিটিকে পরিচালনা করার বা তার মুখোমুখি হওয়ার সময় সতর্কতার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে সাপটি নিয়ে বেশি আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানান এই বিজ্ঞানী।

এই সাপটি ঢেউয়ের তোড়ে সমুদ্রের তীরে চলে এসেছে, এবং পানিতে স্রোত থাকায় গভীরে ফিরে যেতে পারছিলো না বলে জানান তিনি।

বোরি সূত্রে জানা গেছে, গত বছর হাইড্রোফিস প্লাটুরাস (লিনিয়াস, 1766) হলুদ-পেটযুক্ত সামুদ্রিক সাপ এবং হাইড্রোফিস সায়ানোসিক্টাস, যাকে সাধারণত অ্যানুলেটেড সি স্নেক বা নীল-ব্যান্ডেড সামুদ্রিক সাপ নামে দুইটি প্রজাতির দেখা পাওয়া গিয়েছিল কলাতলী সৈকতে। যার স্যাম্পল বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মিউজিয়ামে সংরক্ষণ করা আছে।