ঘূর্ণিঝড় 'দানা' উপেক্ষা করে সৈকতে পর্যটকের ভিড়

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সৈকতে পর্যটকের ভিড়/ছবি: বার্তা২৪.কম

সৈকতে পর্যটকের ভিড়/ছবি: বার্তা২৪.কম

ঘূর্ণিঝড় দানার কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। ৩নং সতর্ক সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তাল সাগরে বড় বড় ঢেউ আঁচড়ে পড়ছে তীরে। যেনো সমুদ্র ভয়ঙ্কর রূপে ফিরেছে। উত্তাল সমুদ্রের ভয়ঙ্কর রূপ দেখতে অনেক পর্যটক সমুদ্রে নেমে পড়েছে। আবার অনেকেই না নেমে কিটকট ছাতা চেয়ারে বসে সমুদ্র দেখছে। অনেকেই আবার বালিয়াড়িতে দাঁড়িয়ে, বসে দেখছে ভয়ঙ্কর রূপ।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে সমুদ্র সৈকতের এমন ভয়ঙ্কর রূপ দেখতে সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে হাজারো পর্যটক এবং স্থানীয় বাসিন্দার ঢল নামে। পর্যটকদের বিপদ এড়াতে তাদের বারবার মাইকিং এবং বাঁশি বাজিয়ে সতর্ক করেছে লাইফগার্ড ও বিচ কর্মীরা।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ঘূর্ণিঝড় দানা ও সতর্ক সংকেতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের উদাসীনতা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া সতর্ক সংকেত উপেক্ষা করে কিছু কিছু পর্যটক সমুদ্রে গোসল করতে নামছেন, যা তাদের জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ কক্সবাজার থেকে প্রায় ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। তবে এসব সতর্কতা সত্ত্বেও সৈকতে থাকা পর্যটকরা নিয়ম ভঙ্গ করে সমুদ্রে নামছেন।

পানিতে নামা বেশিরভাগ পর্যটক বলেন, ‘কক্সবাজার বেড়াতে এসে সমুদ্রে না নামলে মজাটাই পাওয়া যায় না। তবে আমরা সবসময় সতর্ক থাকি।’


এব্যাপারে সিনিয়র লাইফগার্ড জয়নাল আবেদীন বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য আমরা কঠোর নির্দেশনা পালন করছি। কোনো দুর্ঘটনা এড়াতে আমরা নিয়মিত টহল দিচ্ছি এবং মাইকিং করছি। কিন্তু তাও পর্যটকরা আমাদের কথা মানে না। তাদের তুলে দিতে অনেক কষ্ট হয়। এছাড়া সৈকতে ক্যানেল এবং গর্তের কারণে হাঁটু পানির নিচে নামা বিপজ্জনক।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের বিভিন্ন উদ্যোগ রয়েছে। তবে পর্যটকদের নিজেদেরও সচেতন হওয়া উচিত।’