জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে ২ নভেম্বরের ডাকা সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি সাময়িক ভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়েছে ,ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স ২৯ ধারার ক্ষমতা বলে (সভাস্থল) পাইওনিয়ার রোডস্থ ৬৬ নং ভবন, কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যে কোন প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করায় জাতীয় পার্টি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পরবর্তী কর্মসূচি জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দেয়া হবে।
রাজধানীর মিরপুর-১ মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটে চাঁদাবাজির অভিযোগে কামাল নামে এক ব্যক্তিকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করেছেন সেনাবাহিনী।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনী এক কর্মকর্তা।
পরর্বতীতে আটক কামালকে শাহ আলী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী।
এসময় সেনাবাহিনী জানায়, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগে আগস্ট পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনী অভিযুক্ত কামালকে গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে রাখে। এছাড়া বেশকিছু ভিডিও তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়ায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগে কামালকে শনাক্ত করে আটক করতে সক্ষম হয় সেনাবাহিনী।
এছাড়াও চাঁদাবাজির টাকা চক্রের মূল হোতা কবিররে কাছে দেয়া হতো। কোনো ব্যবসায়ী চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করতো কামালের লোকজন।
এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে, কবির মার্কেটের একছত্র আধিপত্য বিস্তার করে ব্যবসায়ীদের হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতো। সেনাবাহিনীর তদন্তে কবিরের পরিচয় উঠে আসলে দেখা যায় দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগের নেতা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সাথে কাজ করতেন। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন এতোদিন এই শক্তিশালী চক্রটি ব্যবসায়ীদের দমিয়ে রাখতো। প্রাণ ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি।
সেনাবাহিনী আরও জানায়, চক্রের মূল হোতা কবিরকে ধরতে কাজ করে যাচ্ছে তারা। এদিকে চাঁদাবাজ কামাল আটকের সংবাদে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে বলেও জানায় যৌথ বাহিনী।
শীতের আমেজের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটায় বেড়েছে পর্যটকদের আগমন। শুক্রবার (১ নভেম্বর) ও শনিবার (২ নভেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটি এবং শ্যামাপূজাকে কেন্দ্র করে সৈকত এলাকা ও আশপাশে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
সমুদ্রের নীল জলরাশিতে ডুব দিয়ে বা দল বেঁধে সাঁতার কেটে অনেকে উপভোগ করছেন প্রকৃতির সৌন্দর্য।
হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতেও পর্যটকদের উপস্থিতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কুয়াকাটার এক আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার জানান, সাম্প্রতিক সময়ে হোটেল বুকিং ভালোই চলছে। তারা আশাবাদী যে, এভাবে চলতে থাকলে অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
ভাসমান চা বিক্রেতা মো. সোবাহান জানান, গত কয়েকদিন ধরে পর্যটক আসতে শুরু করেছে, এতে বিক্রি বেড়েছে।
ক্যামেরাম্যান আলমাছও জানান, পর্যটকদের বাড়তি উপস্থিতিতে তাদের আয়ের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে কুয়াকাটায় প্রথম এলাম। সবকিছু ভালো লেগেছে, তবে কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটার সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। এটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব শরীফ বলেন, পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে, আর দেশের পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হচ্ছে। আশা করছি, এবার পর্যটন খাতে আমরা ভালো ফল পাবো।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের পুলিশ সুপার একে আজাদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। কুয়াকাটায় পর্যটকরা যাতে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াতে পারে, সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।
দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং হালকা শীতের সূচনাতে কুয়াকাটার পর্যটন শিল্পে যেন প্রাণচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে। কুয়াকাটা পৌর প্রশাসন, পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সক্রিয় রয়েছে। সবমিলিয়ে শীতের শুরুতেই পর্যটকদের উপস্থিতি কুয়াকাটায় নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কবিরাজের দেওয়া কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে শিশুসহ একই পরিবারের সাত জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের সবাইকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থরা হলেন কুড়ালিয়া গ্রামের একই পরিবারের ফারুক মিয়া (৩৫), কামরুন নাহার (৩০), রাবিয়া বেগম (৬০), হুসনে আরা (৬৫) শিশুদের মধ্যে মুজাহিদ (৯), ইকরা (৭), ইলমা (৩)।
স্বজনরা জানান, গতকাল বিজয়পুর গ্রামের এক কবিরাজের থেকে কৃমিনাশক ওষুধ আনে। আজ সকালে ঔষুধ খাওয়ার নিয়মানুসারে খালি পেটে পরিবারের সবাই একাসাথে ঔষুধ খায়, খাওয়ার পরপরই সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এইসময় পরিবারের লোকজন চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে কর্তব্যরত চিকিৎসক সবার অবস্থা আশংকাজনক দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
স্বজন হনুফা আক্তার বার্তা২৪.কমকে বলেন, কবিরাজের দেওয়া কৃমিনাশক ঔষধ খেয়েই সবার এই অবস্থা। এখন সবাই ময়মনসিংহ হাসপাতালে আছে।
দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. তানজিরুল ইসলাম রায়হান জানান, গ্রামের কবিরাজের পরামর্শে পাহাড়ি ফল কৃমিনাশক হিসেবে খায়। পরে অসুস্থ হয়ে পরে, আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জনকেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করি।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামে একটি ধানক্ষেত থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে, যা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
নিহত কৃষকের নাম গঞ্জেআলী ঘরামী (৬৫) তিনি কিসমত ছৈলাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বড় ছেলে আব্দুল জলিল ঘরামী লাশের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উত্তর সুবিদখালী গ্রামের দ্বীন ইসলাম নামের এক ব্যক্তি গরুর জন্য ঘাস কাটতে ধানখেতের দিকে গেলে তিনি পানিতে ভাসমান একটি লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে মির্জাগঞ্জ থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
নিহতের বড় ছেলে আব্দুল জলিল জানান, তাঁর বাবা গত বুধবার গরুর জন্য ঘাস কাটতে একটি কাঁচি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন এবং এরপর আর ফিরে আসেননি। মাঝেমধ্যে তাঁর বাবা কাউকে না জানিয়ে বাইরে বের হয়ে যেতেন, এবং কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীনও ছিলেন। এ কারণেই তিনি না ফিরলেও পরিবার উদ্বিগ্ন হয়নি।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামীম আহমেদ বলেন, "স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করি। নিহত ব্যক্তির পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। যেহেতু পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই এবং ঘটনাটি সন্দেহজনক মনে হয়নি, তাই মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।"