‘পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়াটি খুবই জটিল’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান

দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান

পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হলেও প্রক্রিয়াটি খুবই জটিল বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।

তিনি বলেন, যে দেশে অর্থ পাচার করা হয়েছে সেই দেশের সঙ্গে আইনি চুক্তি ও সমঝোতার মাধ্যমে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিতে হবে। রাজনৈতিক, আমলাতান্ত্রিক ও ব্যবসায়িক সংস্কৃতি পরিবর্তন না হলে অর্থ পাচার ও দুর্নীতি বন্ধ হবে না বলে মনে করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে ‘ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম’ ও ‘সম্ভাবনার বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক সেমিনারে ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার টানা প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে যে পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে তা হিসাব করলে গড়ে প্রতি বছর ১৫ বিলিয়ন ডলার হয় বলে জানিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যদিও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে কী পরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে এর প্রকৃত হিসাব কোথাও নেই।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, অর্থ পাচার রোধে রাষ্ট্রকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করেছে সরকার। আগামী দুই বছরের মধ্যে যদি একটা পয়সাও ফেরত আসে তাহলে সেটাও বড় অর্জন হবে।