ডিএমপির বিশেষ চেকপোস্টে মাদকসহ গ্রেফতার ৩

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পুলিশের বিশেষ চেকপোস্টে ৩১ হাজার পিস নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য ট্যাপেনটাডোল ট্যাবলেট ও ১০০৪ পিস ইয়াবাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সুমন চন্দ্র দত্ত (৪৫), শাহ পরান (২১) ও নাসিবুর রহমান ওরফে নাছিব (৪৬)।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লালবাগ বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এ তথ্য জানান।

ডিসি মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে কোতোয়ালী থানার বাবুবাজার ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার ওপর পুলিশের বিশেষ চেকপোস্ট কার্যক্রম চলছিল। রাত সাড়ে ১০টার দিকে চেকপোস্টে একটি প্রাইভেটকার তল্লাশির সময় দুটি কার্টুন পাওয়া যায়। সন্দেহজনক হওয়ায় ওই কার্টুন তল্লাশি করে ৩১ হাজার পিস ট্যাপেনটাডোল ট্যাবলেট জব্দ করে পুলিশ। যার মূল্য ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

বিজ্ঞাপন

এ সময় প্রাইভেটকারচালক শাহ পরান ও প্রাইভেটকারে থাকা সুমন চন্দ্র দত্তকে গ্রেফতার করা হয় এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ট্যাপেনটাডোল ট্যাবলেট সংগ্রহ করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করতো।

প্রসঙ্গত, ট্যাপেনটাডোল ট্যাবলেট ‘খ’ শ্রেণির মাদক হিসেবে ২০২০ সালের ৮ জুলাই থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তফসিলভুক্ত। মাদকসেবীরা ট্যাপেনটাডোল ট্যাবলেটকে ইয়াবার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।

অন্যদিকে, একইদিন রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে সূত্রাপুর থানার হানিফ টাওয়ারের সামনে পুলিশের বিশেষ চেকপোস্টে সন্দেহভাজন নাসিবুর রহমানকে তল্লাশি করা হয়। এসময় তার কাঁধে থাকা একটি ব্যাগ তল্লাশি করে ১০০৪ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয় এবং তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধেও ডিএমপির সূত্রাপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে সূত্রাপুর এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতো বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে নাসিবুর রহমান।