লক্ষ্মীপুরে ন্যায্যমূল্যে সবজির বাজার, ক্রেতাদের স্বস্তি

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরে ন্যায্যমূল্যে সবজির বাজার

লক্ষ্মীপুরে ন্যায্যমূল্যে সবজির বাজার

দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও সিন্ডিকেট ভাঙতে লক্ষ্মীপুরে বসেছে ন্যায্যমূল্যের বাজার। এতে বাজার দর থেকে কমমূল্যে পণ্য পেয়ে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের।

স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন সংগঠন ও ছাত্র প্রতিনিধিদের যৌথ সমন্বয়ে জেলাব্যাপী ১১টি সুলভ বাজার রীতিমতো সাড়া ফেলেছে ভোক্তাদের মাঝে। সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বাজার মনিটরিংয়েও গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে বলে জানায় প্রশাসন।

বিজ্ঞাপন

মেঘনা উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর। এ জেলার প্রায় ৭০ ভাগ মানুষই কৃষিজীবী। ভয়াবহ বন্যা পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা এখন চলমান। দীর্ঘদিন ধরে সারাদেশে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট আর দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি চলছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে অনেকটাই হিমশিমে পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাজার দর নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ন্যায্যমূল্যের বাজার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। নভেম্বরের শেষের দিকে জেলা শহরের জুবলী দীঘির পাড়ে ইউর ব্যাটম্যান নামীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে সুলভমূল্যে বাজার গড়ে তোলে প্রশাসন। এরপর শহরের তিতাখা মসজিদের সামনে আরেকটি ন্যায্যমূল্যের বাজার স্থাপন করা হয়। এসব বাজারে শাক সবজি থেকে শুরু করে মিলছে মাছ, মাংস ও ডিম। যেখানে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করে নিযে আসা হয়। বাজার দর থেকে ১০ থেকে ৫০ টাকা কমে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা হয়। বর্তমানে জেলার ৫টি উপজেলায় একইভাবে ১১টি বাজার স্থাপন করা হয়েছে। এসব বাজারে ভোক্তাদের ভিড় বেড়েছে বেশ।

কয়েকজন ভোক্তা জানান, অন্যান্য বাজারের চেয়ে সুলভ বাজারে এসে কমমূল্যে পণ্য কিনতে পেরে তারা খুব খুশি।

বিজ্ঞাপন

ছাত্র প্রতিনিধিরা বলছেন, সিন্ডিকেট ভাঙতে ও জনমনে স্বস্তি ফেরাতে প্রশাসনের সহায়তায় তাদের এ আয়োজনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে জনমনে। সরাসরি কৃষকদের থেকে পণ্য কিনে এনে তা বাজারে বিক্রি করায় আগ্রহ বেড়েছে ক্রেতাদের। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা ।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার জানান, বাজার দর নিয়ন্ত্রণ করতে ও সিন্ডিকেট ভাঙতে ন্যায্যমূল্যের বাজারের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। এতে বিভিন্ন সংগঠন ও ছাত্র প্রতিনিধিরা এগিয়ে এসেছেন। এর সুফল পাচ্ছেন জেলাবাসী। একই সঙ্গে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।