ছাত্র আন্দোলন: আব্দুল্লাহর মৃত্যু হল তিন মাস পর

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ

শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ

রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ (২৩) গিয়েছিলেন সরকার উৎখাতের আন্দোলনে। ৫ আগস্ট কপালে গুলিবিদ্ধ আবদুল্লাহ তিন মাস নয়দিন পর ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে মারা যান তিনি।

বিজ্ঞাপন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইয়ামিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আবদুল্লাহর বাড়ি যশোরের বেনাপোল। তিনি রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আন্দোলনের শুরু থেকেই আবদুল্লাহ সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ৫ আগস্ট বংশাল থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন আব্দুল্লাহ।

বিজ্ঞাপন

আব্দুল্লাহর সহপাঠীরা জানান, তার কপালের মাঝ বরাবর গুলি লেগেছিল। গুলিবিদ্ধ হওয়া স্থানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। অল্পের জন্য ব্রেন রক্ষা পায়। এমন অবস্থায় প্রায় দুই-তিন ঘণ্টা রাস্তায় পড়ে ছিলেন আব্দুল্লাহ। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মিটফোর্ড এবং পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে রাত ৩টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অপারেশনের পর ডাক্তাররা তাকে আশ্বস্ত করেন সুস্থ হওয়ার ব্যাপারে। দুইদিন পর তাকে রিলিজ দিলে বাসায় চলে যান।

আব্দুল্লাহর পরিবারের সদস্যরা জানান, যশোরে যাওয়ার পর ব্যথা বাড়লে আবার ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। চিকিৎসকরা মাথায় ভেতরে ইনফেকশন হয়েছে বলে জানায়। ঢামেকে ফের অপারেশন করা হয়। অবস্থার উন্নতি না দেখে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহযোগিতায় তাকে ২২ আগস্ট সিএমএইচে স্থানান্তরিত করা হয়।

আরও জানান, সিএমএইচে আব্দুল্লাহর প্রথম অবস্থায় উন্নতি দেখা গেলেও কিছুদিন পরে তাকে লাইফ সাপোর্টে নিতে হয়। ইর্ন্টানাল ব্লিডিংয়ের কারণে তার মাথায় ‘ব্লাড ইনফেকশন’ হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে নিম্নবিত্ত পরিবার সেই ব্যবস্থা করতে পারেনি। অবশেষে তিনি না ফেরার দেশের যাত্রী হলেন।

আব্দুল্লাহর বাবা কৃষিকাজের পাশাপাশি একটি দোকান চালাতেন। তার বাড়ি যশোরের বেনাপোলে। বাবা-মা ছাড়াও তিনি ভাই এক বোন আছে তার। পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন আব্দুল্লাহ।