উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল এলো চট্টগ্রামে, দেবে প্রশিক্ষণ

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল এলো চট্টগ্রামে/ছবি: সংগৃহীত

উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল এলো চট্টগ্রামে/ছবি: সংগৃহীত

চক্ষুরোগ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতে ১১তম বারের মতো বাংলাদেশে এসেছে উড়োজাহাজে স্থাপিত বিশ্বের একমাত্র স্বীকৃত চক্ষু চিকিৎসাশিক্ষা ও সার্জিক্যাল হাসপাতাল অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল। এমডি-১০ উড়োজাহাজে স্থাপিত হাসপাতালটি বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর এবং চিটাগং আই ইনফারমারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্সের (সিইআইটিসি) অধ্যাপক ডা. মুনিরুজ্জামান ওসমানী অরবিসকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানায়।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশে উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের প্রথম প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮৫ সালে এবং সর্বশেষ ২০১৭ সালে। এবারের প্রশিক্ষণ চলাকালে অরবিসের ক্লিনিকাল স্টাফ এবং স্বেচ্ছাসেবক ফ্যাকাল্টিরা ১৮ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের চক্ষুচিকিৎসক ও চক্ষুখাতের পেশাজীবীদের সরাসরি অস্ত্রোপচার এবং রোগীদের যত্ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেবেন। ওই সময় সিমুলেশন প্রশিক্ষণ এবং চক্ষু সংক্রান্ত কর্মশালাও অনুষ্ঠিত হবে।

অরবিস ইন্টারন্যাশনাল একটি আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা যেটি বিশ্বের ২ শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে দৃষ্টি-সুরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে। বাংলাদেশে অরবিসের এবারের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির লক্ষ্য চোখের যত্নের মান বাড়াতে স্থানীয় চক্ষুসেবা পেশাজীবীদের দক্ষতা গড়ে তোলা এবং চোখের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে, অ্যালকন ফাউন্ডেশন ও ফেডেক্সের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং অ্যালকন কেয়ারস, অফথালমোলজিকাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওএসবি), বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) এবং সরকারের ন্যাশনাল আই কেয়ারের (এনইসি) সহায়তায় এবারের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থানকারী উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল এবং অরবিসের পার্টনার হাসপাতাল - চিটাগাং আই ইনফার্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্সে (সিইআটিসি) প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালিত হবে। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে চোখের ছানি, অকুলোপ্লাস্টিক, সার্জিক্যাল রেটিনা, শিশু গ্লুকোমা ও কর্নিয়ার পাশাপাশি অ্যানেস্থেসিওলজি, নার্সিং ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।

ডা. মুনির আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং চট্টগ্রাম আই ইনফার্মারি এবং ট্রেনিং কমপ্লেক্সের সঙ্গে সমন্বিতভাবে বাংলাদেশে আবার উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল আনতে পেরে আমরা গর্বিত। আমাদের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব বাংলাদেশে মানসম্পন্ন চক্ষুসেবার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।