নিহত আবদুল্লাহ'র পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস উপদেষ্টা সাখাওয়াতের

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নিহত আবদুল্লাহ'র পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস উপদেষ্টা সাখাওয়াতের

নিহত আবদুল্লাহ'র পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস উপদেষ্টা সাখাওয়াতের

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত আবদুল্লাহ (২৩) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে মারা যান তিনি।

বিজ্ঞাপন

নিহত আবদুল্লাহ বেনাপোল পৌরসভার বড়আঁচড়া গ্রামের জব্বার আলীর ছেলে এবং রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আন্দোলনের শুরু থেকেই সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন আবদুল্লাহ।

এদিকে আবদুল্লাহ'র মৃত্যুর খবরে বেনাপোল বন্দর পরিদর্শনে আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌপরিবহণ উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন তার বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে সান্ত্বনা দেন। এসময় বেনাপোল পৌরসভার পক্ষ থেকে ২৫ হাজার ও জেলা প্রশাসন থেকে ৫০ হাজার টাকা সহযোগিতা করা হয়। এছাড়া আরও সহযোগিতার আশ্বাস দেন সাখাওয়াত হোসেন।

বিজ্ঞাপন

এসময় উপদেষ্টার সাথে উপস্থিত ছিলেন- যশোর জেলা প্রশাসক, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বেনাপোল বন্দর পরিচালক, পোর্টথানা ওসিসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর তাঁতীবাজার মোড়ে বংশাল থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন আবদুল্লাহ। তার কপালের ঠিক মাঝ বরাবর গুলি লাগে। এমন অবস্থায় প্রায় দুই থেকে তিন ঘণ্টা তিনি রাস্তায় পড়ে থাকেন।

কপালের মাঝ বরাবর গুলি লাগলেও সৌভাগ্যক্রমে অল্পের জন্য মস্তিষ্ক রক্ষা পায়। রাত তিনটায় সার্জারি শুরু হয়ে ভোর ছয়টায় শেষ হয়। অপারেশন সফল হলে এক পর্যায়ে বেশ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান আব্দুল্লাহ। কিন্তু কিছুদিন পরেই তার প্রচণ্ড মাথাব্যথা শুরু হয়। এরপর আবার তাকে ঢাকা মেডিক্যালে আনা হয়। চিকিৎসকরা তার মাথায় ইনফেকশন দেখতে পান। তাই আবার সার্জারি করার প্রয়োজন হয়। কিন্তু তেমন উন্নতি না হওয়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহায়তায় তাকে গত ২২ আগস্ট ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। প্রাথমিকভাবে কিছুটা উন্নতি হলেও কিছুদিন পরেই তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া লাগে।