ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ফেনীর শতবর্ষী সেন্ট্রাল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিনকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ফেনী শহর থেকে তাকে গ্রেফতারের পর বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেফতার গিয়াস উদ্দিন সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের চরহুজুরী গ্রামের আজিম হাজী বাড়ির শরিয়ত উল্লাহর ছেলে। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শহরের ট্রাংক রোড এলাকা থেকে গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, গ্রেফতার গিয়াস উদ্দিন আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় করা একটি মামলার এজাহারনামীয় আসামি। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস খোলার কথা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ে তা না খোলায় এবং তালিকা প্রকাশ না করায় বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এর আগে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ২টায় ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত তা করেনি কর্তৃপক্ষ।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী জানান, উপাচার্য স্যার আমাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তালিকা প্রকাশ করে ছাত্রাবাসে উঠার কথা দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কথা রাখেননি। অজানা কারণে ছাত্রাবাসে উঠানোর জন্য শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করছেন না। স্যার আমাদের কষ্টের কথা বুঝতে চাচ্ছেন না। বাসা দূরে হবার কারণে অনেক টাকা যাতায়াতে চলে যায়। তাছাড়া রাস্তাঘাটে যানজটের কারণে পড়াশোনার সময়ও নষ্ট হয়। তাই আমাদের কথা চিন্তা করে দ্রুত হলের তালিকা প্রকাশ করা হোক। দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্রাবাস খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলার সহ-সমন্বয়ক ফাহিম হোসেন বলেন, ছাত্রাবাস খোলার সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে নায্য দাবি তার সঙ্গে একাত্মতা রযেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের। অবিলম্বে তাদের দাবি মেনে নেওয়া হোক। যদি তাদের দাবি মেনে না নেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. ইয়াছিনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা যায়নি।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শরীফ উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দুটি ছাত্রাবাস খুলে দেওয়ার বিষয়ে আমরা একটা আবেদন পেয়েছি। আমরা কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।

আগামী পাঁচ দিনের প্রথমার্ধে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া দেশের এক বিভাগে হালকা বৃষ্টি/গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসার দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে, তবে চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি/গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

এছাড়া শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
পূর্বাভাস।

আগামীকালকের (বৃহস্পতিবার) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে, তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি/গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

বগুড়ায় নিখোঁজের পর মুক্তিপণ দাবি করা শিশুর মরদেহ পাওয়া গেছে গ্রামের একটি পুকুরে।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাত টার দিকে বগুড়া সদরের গোকুল সরকার পাড়া গ্রামের পুকুরে শিশুটির মরদেহ ভেসে উঠে।

শিশুটির নাম আরবী আক্তার (৭)। সে গোকুল সরকার পাড়া গ্রামের কাজল মিয়ার মেয়ে।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, আরবী আক্তার নামের ও শিশুটি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির পার্শ্বে খেলাধুলা করার সময় নিখোঁজ হয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেয়েটির ছবি দিয়ে সন্ধান চাওয়া হয়। বিকেলের দিকে কয়েকটি মোবাইল নম্বর থেকে শিশুটির বাবার কাছে ফোন করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় ফোন নম্বরগুলোর অবস্থান শনাক্ত করে। এরই মধ্যে সন্ধ্যার পর বাড়ির কাছে পুকুরে শিশুটির মরদেহ ভেসে উঠে।

পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, শিশুটি মৃগী রোগী ছিল। ধারণা করা হচ্ছে খেলাধুলার সময় সবার অজান্তে পুকুরে পড়ে যায়।

আইনগত প্রক্রিয়া শেষে শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।