আমরণ অনশনের ঘোষণা নকল নবিশদের
আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে দাবি আদায় না হলে রোববার থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি করবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী নকল নবিশ দাবি আদায় পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম।
বুধবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বৈষম্য বিরোধী নকল নবিশ দাবি আদায় পরিষদ কর্তৃক '৫৬১টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত নকল নবিশদের চাকরি জাতীয়করণের' দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা আমাদের চাকুরি স্থায়ীকরণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৩২ দিন যাবত অবস্থান ধর্মঘট পালন করছি। আমাদের দাবি মেনে না নিলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে, আইজিআর অফিস, তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের সামনে আমরণ অনশন করা হবে। আর যদি সরকার দাবি মেনে নেয় তাহলে শনিবার আবার সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি স্থগিত করা হবে।
তিনি বলেন, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত ১৬ হাজার ২৪৬ জন এক্সট্রা-মোহরার/নকল নবিশদের জাতীয়করণের দাবিতে ১৯৮২ সাল হতে আন্দোলন চলছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মহান সংসদসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ ও কর্মকর্তাগণ নকল নবিশদের চাকরি জাতীয়করণের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর বহু সরকারের পালাবদল ঘটে। কিন্তু নকল নবিশদের খোঁজ কেউ রাখেনি।
তিনি বলেন, নকল নবিশরা সরকারি কোন বেতন ভাতা পান না। সমাজের মানুষ জানে তারা সরকারি চাকরি করেন। কিন্তু বাস্তবে নকল নবিশরা জমির দলিলের এক পৃষ্ঠা বালামে লিখলে মাত্র ২৪ টাকা মঞ্জুরি পায়। প্রকৃতপক্ষে এক পৃষ্ঠা বালাম লেখার জন্য জনগণের কাছ থেকে সরকার রাজস্ব নেয় ৪০ টাকা। সেখান থেকে নকল নবিশদের দেয়া হচ্ছে ২৪ টাকা। বাকি ১৬ টাকা রাজস্ব খাতে জমা হচ্ছে। নকল নবিশদের টাকা দিয়েই তাদের চাকরি জাতীয়করণ করা সম্ভব। নকল নবিশদের দীর্ঘদিনের দাবি চাকরি জাতীয়করণ করা হোক। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার অভাবে আমরা আজও অন্ধকারেই রয়ে গেছি।
তাই আমি আমাদের চাকুরী স্থায়ীকরণ করার জন্য, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
সংগঠনের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমিন হোসেন, সহ-সভাপতি, রবিউল ইসলাম রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, কোষাধক্ষ্য শামীম আহমেদ প্রমুখ।