ফেনীতে মধ্যরাতে খামার কর্মচারীকে কুপিয়ে হত্যা, ৩ গরু লুট
ফেনীতে মো. ইয়াছিন সোহাগ (২১) নামে এক খামার কর্মচারীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে তিনটি গরু লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দিনগতরাতে শহরতলীর পশ্চিম সিলোনিয়া কালিপাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহাগ ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর সাতুতী বড়বাড়ির আবদুস সামাদের ছেলে। তিনি গত ১৫ বছর ধরে ফেনী শহরতলীর কালিপালের ভূঁইয়া ডেইরি ফার্মে কাজ করছিলেন। বিভৎসভাবে কোপানোতে সোহাগের শরীর থেকে নাক আলাদা হয়ে যায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ৩টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত কালিপালের ভূঁইয়া ডেইরি ফার্মে ঢুকে অস্ত্র তাক করে তিনটি গরু নিয়ে যায়। খামারের কর্মচারী সোহাগ তাদের হাত থেকে ছুটে পার্শ্ববর্তী মালিকের ঘরের সামনে গেলে সেখানে ডাকাত দলের দুই সদস্য তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ইয়াসিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
খামার মালিক মামুন জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে আকস্মিক চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠি। পরে ঘরের সামনে সোহাগকে মুখোশ পরা দুইজন ডাকাত বিভৎসভাবে কুপিয়ে জখম করতে দেখেছি। ঘর থেকে বের হওয়ার আগেই একটি ট্রাকে অন্তত ১৫ জনের অধিক লোক তিনটি গরু নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।লুট হওয়া তিনটি গরুর দাম আনুমানিক ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা হবে বলে জানান তিনি। এসময় তিনি দ্রুত এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।
এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফেনী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান ও ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ফেনীতে বন্যা পরবর্তী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় চুরি-ছিনতাই কিছুটা বেড়েছে। এসব রোধে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। এমন ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশের পাশাপাশি এলাকাবাসীকেও নিজ উদ্যোগে এলাকা ভিত্তিক পাহারাদার বসানোর তাগিদ দেন তিনি। এ ঘটনায় আইনি বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে চুরি নাকি ডাকাতির মামলা হবে তা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।