ঢামেকের এক্সরে রুমে কথিত শিক্ষার্থীর কাছে পাওয়া গেলো ছুরি
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকেই স্থানীয় হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা নিতে আসছেন। চিকিৎসার প্রয়োজনে আহত অনেককেই এক্সরে রুমে পাঠাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
তবে পুরান ঢাকার কবি নজরুল কলেজের কথিত শিক্ষার্থী পরিচয় দেওয়া মো. তাশরিফ (১৭) ঘটিয়েছেন আশ্চর্যজনক এক ঘটনা। এক্সরে করার সময়ে তার কোমড়ে ধারালো চাকু ও হাতুড়ি পাওয়ায় এখন তাকে হাসপাতালের বিছানার বদলে যেতে হচ্ছে থানায়।
ঢামেকের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যাত্রাবাড়ী থেকে আহত অবস্থায় তাশরিফকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। তার মাথায় ব্যান্ডেজসহ চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য এক্সরে করতে পাঠান। হাসপাতালের ৬ নম্বর রুমে এক্সরে রুমে গিয়েই আটকে যান তাশরীফ। এক্সরে করতে গিয়ে টেকনিশিয়ানরা দেখতে পান তার কোমড়ে ধারালো চাকু ও হাতুড়ি। এরপরই পুলিশের হাতে তুলে দেন সংশ্লিষ্টরা।
তাশরিফকে হেফাজতে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেকের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক।
তিনি বলেন, যাত্রাবাড়ীতে সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের অনেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা নিতে আসেন। চিকিৎসা নিতে আসা আহতদের এক্সরে করতে পাঠান এক্সরে করতে পাঠায় চিকিৎসাকরা। তবে একজনের এক্সরে করার সময় রোগীর কোমরে গুকে রাখা চাকু ও হাতুড়ি দেখতে পান সংশ্লিষ্টরা। পরে তারা আমাদের জানালে আমরা তাকে হেফাজতে নেই।
তিনি আরও বলেন, ওই শিক্ষার্থীর কাছে কোনো আইডি কার্ড নেই। তিনি কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়েছে। আমরা কলেজের সিনিয়র শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানিয়েছি। পরিচয় নিশ্চিত করতে তাদের বলেছি। পরবর্তীতে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢামেক সূত্রে জানা গেছে, যাত্রাবাড়ীতে তিন কলেজের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে ভর্তি রাখা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।