বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর।
রোববার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞাপন
বায়ু দূষণের তালিকায় শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লি শহরের স্কোর ২৬৯। অর্থাৎ এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য খুব অস্বাস্থ্যকর। পাশাপাশি তালিকায় দুই নম্বরে ২৫০ স্কোর নিয়ে আছে পাকিস্তানের লাহোর শহর। এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য খুব অস্বাস্থ্যকর। এছাড়া ১৯৩ স্কোর নিয়ে ৪ নম্বর অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। অর্থাৎ এখানকার বাতাস নাগরিকদের জন্য অস্বাস্থ্যকর।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
শুষ্ক মৌসুমে ধান আর বর্ষায় মাছ শিকারই কিশোরগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওর অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রধান অনুষঙ্গ। এর সাথে নতুন একটি অর্থনৈতিক আয়ের পথ খুলেছে ভাসমান হাঁসের খামার।
হাওর অঞ্চলে কয়েক বছর ধরে হাঁসের খামার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। স্বল্প খরচ হওয়ায় এই খাতে আগ্রহ বাড়ছে অনেকের। হাঁসের মাংস ও ডিম স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। অন্যদিকে, প্রাণিজ পুষ্টির ঘাটতি পূরণসহ জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে হাঁসের খামারগুলো।
হাওর, নদী, খাল ও ডোবায় হাঁস পালন করে অভাবকে জয় করে ভাগ্য পাল্টাচ্ছেন খামারিরা। এতে কর্মসংস্থান হচ্ছে বেকার নারী-পুরুষের। এই খামারিদের সাফল্যে অন্যরাও উৎসাহিত হয়ে গড়ে তুলছেন ছোট-বড় খামার।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হাওরে এখন পানি কমে গিয়ে ভেসে ওঠেছে ফসলের জমি। কিছু জমিতে এখনো জমে আছে পানি। এতে রয়েছে নানান রকমের ছোট মাছ। এছাড়াও এসব জমিতে রয়েছে হাঁসের নানান রকমের খাবার। বর্ষায় পানিতে চষে বেড়ায় হাঁসের পাল। ওই সময় রাস্তার পারে ও বাড়িতে রাখা হয় হাঁস। সারাদিন পানিতে ভেসে খামারে ফিরে যায়। শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় এখন খামারগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে হাওরের খালি মাঠের মধ্যে। যেদিকে চোখ যায় দৃষ্টি সীমার মধ্যে দেখা যায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অনেক অস্থায়ী খামার।
প্রতিটি খামারে দুই থেকে তিন হাজার হাঁস রয়েছে। প্রতিটি পালের সাথে একজন করে লোক থাকেন। হাঁসের সাথে তাদের রাতদিন কাটছে। হাঁসের পাল যেদিকে যাচ্ছে, তিনিও পিছু পিছু ছুটছেন।
এছাড়াও বাড়ির সাথে ছোট ডুবা, পুকুরেও এমন খামার গড়ে তোলা হয়েছে। খামারের হাঁস মূলত হাওরের জলজ কীট-পতঙ্গ, ঘাস, শামুক-ঝিনুক, ছোট মাছসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক খাদ্য খায়। বর্তমানে হাওরে কিছু নদী, খাল-ডোবা লিজ দেওয়ায় হাঁস পালনে ব্যাঘাত ঘটছে।
জানা যায়, শীতকালে হাঁসের বাজার খুবই ভালো। ডিম পাড়ে না এমন হাঁসের বাচ্চা হ্যাচারিগুলো ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি করে। ডিম প্রতি পিস ১৪ টাকায় পাইকারদের কাছে বিক্রি হয়। যে ডিমগুলো ফুটাবে সেগুলো হ্যাচারিতে বেশি দামে বিক্রি করা যায়, প্রতি পিস ১৬ থেকে ২০ টাকা।
নিকলী উপজেলার দামপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম বলেন, অন্যের দেখাদেখি তিনিও খামার করেছেন। এ বছর তিনি ৩ হাজার হাঁস পালন করছেন। প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার হাঁস ডিম পাড়ছে। হাঁসের ডিম বিক্রি করে তার সংসারও খুব ভালোভাবেই চলছে।
খামারি আব্দুল হক বলেন, হাঁসের খামার যেমন লাভ আছে তেমনি ক্ষতিও রয়েছে। গতবছর আমার খামারে ২৬শ হাঁসের মধ্যে অর্ধেক হঠাৎ মারা যায়। তবে এবছর আমি লাভবান।
নিকলী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবু হানিফ বলেন, নিকলী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে হাঁসের খামার আছে প্রায় ১৪৫টি। এসব খামারে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার হাঁস রয়েছে। বছরে প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ ডিম দেয়। আনুমানিক বাজারমূল্য ৩৬ কোটি টাকা। এতে উপজেলার ডিমের চাহিদা পূরণ হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হচ্ছে। নিকলী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস খামারিদের কম মূল্যে ভ্যাকসিন সুবিধা দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী জানান, হাওর এলাকায় হাঁসের খামার আশীর্বাদ হতে পারে। হাঁস পালনে খামারিদের সচেতনতা কম। তাদের আমরা সচেতন করতে কাজ করছি। খামারিদের সংখ্যা বাড়ছে।
তিনি বলেন, নিয়মিত সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন নিলে ক্ষতি থেকে অনেক খামারি রক্ষা পাবেন।
দেশের ক্রান্তিকালে সেনাবাহিনী পাশে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, সবাই মিলে কাজ করলে এই ক্রান্তিকাল অতিক্রম করা সম্ভব।
রোববার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদেরকে সংবর্ধনা এবং সেনাবাহিনীর শান্তিকালীন পদক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমরা যেন দেশ জাতিকে একটি ভালো ও নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে পারি সেজন্য কাজ করে যাচ্ছি। দেশের যে পরিস্থিতি চলছে, সেখান থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসা যায় সেভাবে আমরা কাজ করছি।
মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা স্মরণ করে সেনাপ্রধান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যই আজকের এ অবস্থান।দেশের শান্তী রক্ষায় দিনরাত আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানটি ঢাকা সেনানিবাসস্থ 'আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্স' এ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সেনাবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত এবং অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্য ও তাদের নিকটাত্মীয়দের সংবর্ধনার জন্য আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান খেতাবপ্রাপ্ত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্য এবং তাদের নিকটাত্মীয়দের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেন।
এছাড়াও ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে শান্তিকালীন সময়ে বিভিন্ন বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচ জন সেনাবাহিনী পদক (এসবিপি), পাঁচ জন অসামান্য সেবা পদক (ওএসপি) ও ১৮ জন বিশিষ্ট সেবা পদক (বিএসপি) প্রাপ্ত সর্বমোট ২৮ জন সেনাসদস্যকে পদক পরিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে খেতাবপ্রাপ্ত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্যদের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন বীরত্বগাঁথা এবং শান্তিকালীন পদক প্রাপ্ত সেনাসদস্যদের প্রশংসনীয় কর্মকাণ্ডের সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়।
উল্লেখ্য, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্যদের অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর সেনাসদর এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।
অনুষ্ঠানে খেতাবপ্রাপ্ত ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাসদস্য, তাদের নিকটাত্মীয়, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা ও সেনাসদস্যগণ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অবশেষে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় ৭০০ জন যাত্রী নিয়ে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে এমভি বার আউলিয়া জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন।
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিনে যাত্রা সাধারণত নভেম্বর থেকে শুরু হয়। সরকারের নানা সিদ্ধান্তের কারণে এবছর আজকেই জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। পরিবেশ রক্ষার জন্য নানা নিয়মকানুন মানতে হবে পর্যটকদের। যেখানে কোনো পলিথিন এবং প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে না। সেন্টমার্টিনে যেতে পর্যটকদের প্রয়োজন হচ্ছে ট্রাভেল পাস। ট্রাভেল পাস নিয়ে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এ্যাপস তৈরি করেছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার থেকে চলাচলের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত যাত্রী সংকটের কারণে নির্ধারিত ‘কেয়ারি সিন্দবাদ’ জাহাজটি ছেড়ে যায়নি।
এদিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যে শনিবার থেকে কাজ শুরু করেছে পরিবেশ অধিদফতরের ১০ টিম। তারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাহাজ মনিটরিং, স্ক্যানিংসহ অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবে।
সেন্টমার্টিন পর্যটকবাহী জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বার্তা২৪.কমকে বলেন, কোনো পর্যটককে পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিক নিয়ে জাহাজে উঠতে দেওয়া হয়নি। আজকে প্রায় ৭০০’র মতো পর্যটক নিয়ে এমভি বার আউলিয়া জাহাজ এ মৌসুমে প্রথমবারের মতো সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেন্টমার্টিনে যাতায়াতের জন্য তিনটি জাহাজকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে যাচাই-বাছাই করে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রতিবছর অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। বাকি ছয় মাস সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সম্প্রতি নাফ নদে ডুবোচর জেগে ওঠার কারণে নাব্য সংকটে ও মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির কারণে আপাতত টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
১৯ নভেম্বর পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে সেন্টমার্টিনের পর্যটক নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠন এবং একই সঙ্গে কক্সবাজার থেকে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপগামী জাহাজ চলাচল নিয়ে কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কমিটির কর্মপরিধি হিসেবে বলা হয়েছে, সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে ওঠার আগে পর্যটকদের জাহাজ ছাড়ার জায়গা, অর্থাৎ এন্ট্রি পয়েন্টে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তৈরি অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে ট্রাভেল পাস নিতে হবে। পাসধারী পর্যটকদের অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমণ নিশ্চিত করবে কমিটি।
পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজে নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পণ্য পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটি কঠোর থাকবে। পর্যটকরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছানোর পর কোন হোটেলে থাকবেন, তা লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি রেজিস্টারে সংরক্ষণ করা হবে।
লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকায় ট্রাক-সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে আলমগীর হোসেন (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আলমগীর হোসেন রামগতি উপজেলার চরআফজাল এলাকার মৃত সেকান্তর আলী পন্ডিতের ছেলে। এসময় কাজী ফারুকী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী হাসান আহমেদ ও তার বোন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ফেরদৌস আলম, এক নারী ও এক শিশু আহত হয়। এদের মধ্যে শিক্ষার্থী হাসান আহমেদ ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকের অবস্থায় আশঙ্কাজনক। হাসান আহমেদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ফেরদৌস আলমসহ অন্যরা সদর হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রোববার সকালে চর আলেকজান্ডার থেকে আলমগীর হোসেনসহ অন্যরা অটোরিকশা যোগে লক্ষ্মীপুরের দিকে আসছিলেন। অটোরিকশাটি লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের ভবানীগঞ্জ এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে দ্রুত গতিতে ছেড়ে আসা ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় ঘটনাস্থলে মারা যান আলমগীর হোসেন। নিহত আলমগীর হোসেন সকালে লক্ষ্মীপুর আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে বাড়ি থেকে বের হন।
অপরদিকে হাসান আহমেদ ও তার বোন কলেজের উদ্দেশ্যেই রওনা হয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হন। পরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়। আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসান আহমেদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. একে আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে নেয়ার আগে আলমগীর হোসেন মারা যান। এছাড়া আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক। এর মধ্যে শিক্ষার্থী হাসান আহমেদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, যেহেতু এটি একটি দুর্ঘটনা। তাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহত আলমগীর হোসেনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ট্রাক চালকে আটকের চেষ্টা চলছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।