রামনাবাদ নদীতে জেলেদের থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রামনাবাদ নদীতে জেলেদের থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ

রামনাবাদ নদীতে জেলেদের থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার রামনাবাদ নদীতে নতুন জেগে ওঠা চরে মাছ ধরার সময় জেলেদের কাছে চাঁদা দাবি ও বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

এই ঘটনা কেন্দ্র করে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় নলুয়াবাগী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধঘাট এলাকায় স্থানীয় জনগণ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। 

বিজ্ঞাপন

বিক্ষোভে শতাধিক নারী-পুরুষ বাঁশের লাঠি ও ঝাড়ু হাতে অংশ নেন। তারা স্থানীয় বিএনপির সভাপতি মো. বাহাদুর আলম মৃধা, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আশরাফ প্যাদা এবং সাধারণ সম্পাদক মো. দাদন চৌকিদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে তাদের দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, রামনাবাদ নদীর চরে জেলেদের মাছ ধরতে বাধা দিয়ে ৪০-৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। অভিযোগে আরও বলা হয়, চরের জমি তাদের রেকর্ডিং সম্পত্তি ছিল, যা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে এটি সরকারি খাস জমি হিসেবে লিপিবদ্ধ হলেও তারা জমি ফিরে পেতে আদালতে মামলা করেছেন (মামলা নম্বর ১২১/২০২২)।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলেরা জানান, চর দিয়ে তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ হয়। কিন্তু বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বাহাদুর মৃধাসহ কয়েকজন নেতা এই চরে দখল প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন এবং জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করছেন।

অভিযুক্ত বাহাদুর মৃধা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'আমি বন বিভাগের কাছ থেকে লিজ নিয়েছি এবং জেলেদের সাথে সমন্বয় করতে চেয়েছি। তবে তারা এতে সাড়া দেয়নি। চাঁদা দাবির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং, আমার জেলেদের মাছ ধরতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা থানায় অভিযোগ করেছি।'

বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, 'এ চরে ছয় মাসের জন্য মাছ ধরার শর্তে দুইজনকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি চাঁদা দাবি করে, সেটি তার ব্যক্তিগত দায়। বন বিভাগ কোনোভাবেই এর দায় নেবে না।'

অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, 'আমি এ বিষয়ে আগে কিছু জানতাম না। তবে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে দলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'