পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৮ ডিগ্রি
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে গত কয়েক দিন ধরে ওঠানামা করছে তাপমাত্রার পারদ। রাতে শীতের তীব্রতা বাড়লেও সকালের পর দেখা মিলেছে সূর্যের৷
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে জেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে এ জেলার ওপর দিয়ে হালকা হিমেল হাওয়া বয়ে যায়৷ ফলে সন্ধ্যা থেকে ঘন কুয়াশা না থাকলেও কিছুটা শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।
গত কয়েক দিন ধরে শীতের তীব্রতা বাড়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষদের। সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে পাথর, চা ও দিনমজুর শ্রমিকরা৷ তারা সকাল বেলা শীতের কারণে সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না৷ অন্যদিকে কষ্ট বেড়েছে গরিব ও শীতার্ত মানুষদের।
এ বিষয়ে জেলার তেঁতুলিয়ার পাথর শ্রমিক রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। নদীতে পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করি। শীতকাল আসলে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। শীতে নদীর পানি অনেক ঠান্ডা করে। বেশিক্ষণ আমরা কাজ করতে পারি না। আয়ও কমে গেছে।
জেলা শহরের ভ্যান চালক শাহ আলম বলেন, প্রত্যেক বছরই শীত বস্ত্র বিতরণ হয় কিন্তু আমরা পাই না। এখন অনেক শীত, যদি কেউ আামদের শীতবস্ত্র দিয়ে পাশে দাঁড়ায় তাহলে আামাদের অনেক উপকার হবে।
একই কথা বলেন চা শ্রমিক ইমন ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা খুব ভোরে বাই সাইকেল চালিয়ে বাগানে পাতা কাটতে আসি। শীতে অনেক সমস্যা হয়। আমাদের মোটা কাপড় নেই। প্রতিবছর শীত আসে কিন্তু আমাদের কেউ খোঁজ খবর রাখে না।
এবিষয়ে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, তেঁতুলিয়ায় সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাতাসের আদ্রতা ৭৭%,বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭-৮ কিলোমিটার, ভিজিলিটি/খালি চোখে দৃষ্টিসীমা ৫ কিলোমিটার। মৃদু শৈত্য প্রবাহ চলমান। তবে আগামী সপ্তাহে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি ও তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।