মীর মশাররফ হোসেনের ১১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
বাংলা সাহিত্যের অমর দিকপাল ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও গদ্যশিল্পী ‘বিষাদ-সিন্ধু’র’ রচয়িতা সাহিত্য সম্রাট মীর মশাররফ হোসেনের ১১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর)।
বাংলা ভাষার অন্যতম এই প্রধান গদ্যশিল্পী মীর মশাররফ হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী ঘিরে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, মীর মশাররফ হোসেন ডিগ্রি কলেজ, মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি সংসদসহ স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো মীরের সমাধিস্থল বালিযাকান্দির নবাবপুরের পদমদীতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মীর মশাররফ হোসেনের সমাধীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মুস্তাফিজুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে জানান, কালজয়ী ঔপন্যাসিক সাহিত্য সম্রাট মীর মশাররফ হোসেনের আজ ১১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। মহান এই মনীষীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। বেলা ১১ টার সময় মীরের সমাধিস্থল পদমদীতে শায়িত মীর মশাররফ হোসেনের সমাধীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন তারা। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলা মুসলিম সমাজের দীর্ঘ অর্ধ শতাব্দীর জড়তা দূর করে আধুনিক ধারায় এবং রীতিতে সাহিত্য চর্চার সূত্রপাত ঘটে মীর মশাররফ হোসেনের শিল্পকর্মের মধ্য দিয়ে। তার লেখা উপন্যাস ‘উদাসী পথিকের মনের কথা’ (১৮৯০), ‘গাজী মিয়ার বস্তানি’, ‘জমিদার দর্পণ’ (১৮৭৩), আত্নকাহিনীমূলক রচনাবলি ‘আমার জীবনী’, ‘বিবি কুলসুম’ (১৯১০), সহ বিভিন্ন গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, প্রবন্ধ, ও ধর্মবিষয়ক ৩৭টি বাংলা সাহিত্যের অমর সৃষ্টি রয়েছে।
১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর গৌরী নদীর তীরে লাহিনীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের এই পথিকৃৎ। তার বাবার নাম সৈয়দ মীর মুয়াজ্জম হোসেন ও মায়ের নাম দৌলতন নেছা। ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মহান এই মনীষী মৃত্যুবরণ করলে তাকে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে সমাহিত করা হয়।