চট্টগ্রামে নিলাম ও ভোগের অযোগ্য ১৭৫ টন পণ্য ধ্বংস

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ আমদানি করা ৯ কনটেইনারের ১৭৫ টন নিলাম ও ভোগের অযোগ্য হিমায়িত চিংড়ি, আদা, কমলা ও পশুখাদ্য ধ্বংস করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন রিপাবলিক ক্লাবের পেছনে বড় গর্ত খুঁড়ে এসব খাবার ও ব্যবহারের অনুপযোগী পণ্য মাটি চাপা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন টার্মিনাল, ইয়ার্ড ও শেডে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ১১১টি কনটেইনারের মোট ২ হাজার ৩৫০ টন পণ্য ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধ্বংসের জন্য নির্ধারিত এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে হিমায়িত চিংড়ি, আদা, হিমায়িত মাংস, পশুখাদ্য, মেন্ডারিন কমলা, মিট অ্যান্ড বোন মিল, মাছ ও মুরগির খাদ্য।


চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল ইসলাম জানান, ‘বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন খালাস না নেওয়া ও নষ্ট হয়ে যাওয়া পণ্য ধ্বংস করা কাস্টমসের নিয়মিত কার্যক্রম। এবার ধ্বংস কার্যক্রমে ১১১টি কনটেইনার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রথম দিনে ৯টি কনটেইনার ধ্বংস করা হয়েছে। শুক্র ও শনিবার সীমিত কার্যক্রম চলবে। এরপর পুরোদমে ধ্বংস কার্যক্রম চলবে।’

বিজ্ঞাপন

সাইদুল ইসলাম আরও জানান, ‘খালাস না হওয়া পণ্য নিলামের পরও অনেক সময় সেগুলো সরবরাহ করা যায় না, বিশেষ করে যদি নমুনা পরীক্ষায় বিএসটিআই বা আনবিক শক্তি কমিশনের ছাড়পত্র না মেলে। জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ সুরক্ষা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার।’

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘আগে দেখা গেছে, ধ্বংসের পর পণ্য চুরি করে একটি চক্র বাজারে নিয়ে আসত, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। এবার আমরা নিশ্চিত করছি যে ধ্বংস কার্যক্রমের পর কোনো অনিয়ম বা চুরি না ঘটে।’

ধ্বংস কার্যক্রমে কাস্টমস এবং বন্দরের যৌথ উদ্যোগ জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।