‘জনপ্রশাসনে শর্ষের মধ্যে থাকা ভূত তাড়াতে জনগণই একমাত্র ভরসা’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভূত তাড়াতে জনগণকেই একমাত্র ভরসা/ছবি: সংগৃহীত

ভূত তাড়াতে জনগণকেই একমাত্র ভরসা/ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রশাসনে শর্ষের মধ্যে থাকা ভূত তাড়াতে জনগণই একমাত্র ভরসা বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যরা।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কমিশন সদস্যরা এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সভায় উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া, ড. মো. হাফিজুর রহমান ভূঞা, মিহরাজ আহমেদ এবং মেহেদী হাসান। সভার সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।

কমিশনের সদস্যরা বলেন, জনপ্রশাসনকে একটি সুন্দর কাঠামোর ওপর দাঁড় করানো সকলের দায়িত্ব। জনগণের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং প্রশাসন ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনার জন্য জনপ্রশাসন কাজ করবে। সেবা প্রদানকারী সরকারি কর্মচারীদের কাজ স্বচ্ছ রাখতে এবং নাগরিকদের সেবা পাওয়ার সমস্যা সমাধানের জন্য জনগণের মতামত জরুরি বলে তারা জানান।

বিজ্ঞাপন

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া মন্তব্য করেন, দুর্নীতি ও রাজনীতি এবং রাজনীতিবিদ ও জনপ্রশাসনের মাঝে একটি অদৃশ্য দেয়াল রয়েছে। কখনো কখনো সেই দেয়াল ভেঙে একত্রিত হয়ে যায় এবং তা সমাজকে ক্ষতি করে। এজন্য একটি চেক এন্ড ব্যালেন্স সিস্টেম দরকার।

কমিশনের সদস্য মেহেদী হাসান বলেন, যাদের পকেটে টাকা আছে, তারাই ঘুষ দেয়। সমাজের এলিট শ্রেণি ঘুষ প্রথা চালু করে। রাজনীতিবিদরা তাদের কমিটমেন্টের বাইরে কাজ করলে তাদের প্রতিহত করা হবে। ঘুষ চাইলে তাকে প্রতিহত করবো।” তিনি আরও বলেন, “এই শর্ষের মধ্যে থাকা ভূত তাড়াতে জনগণকেই এগিয়ে আসতে হবে।

মানবাধিকার সংগঠক জেসমিন সুলতানা পারু বলেন, প্রশাসনে যারা যাচ্ছেন, তারা আমাদের সন্তান। আমরা তার মেধা দেখি, কিন্তু নৈতিক চরিত্র দেখিনা। তৃণমূল থেকে ওপর পর্যন্ত নির্লোভ-নির্মোহ সম্পর্ক তৈরি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রাজনীতিবিদদের প্রভাব না থাকলে দুর্নীতি ও বিচারহীনতা কমবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল বলেন, প্রশাসনকে স্বাধীন করে দিতে হবে এবং লাল ফিতার দৌরাত্ব্য কমাতে হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) সৈয়দ মাহবুবুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এল.এ) একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ শরীফ উদ্দিনসহ নানা শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিবর্গ।

সভায় জনপ্রশাসনকে আরও জনমুখী ও কার্যকর করার বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব এবং মতামত তুলে ধরা হয়।