জাহাজে হত্যাকাণ্ড: নৌ-শ্রমিকদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

  • স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাজে হত্যাকাণ্ড: নৌ-শ্রমিকদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

জাহাজে হত্যাকাণ্ড: নৌ-শ্রমিকদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

চাঁদপুরের মেঘনা নদীর হাইমচরে ইশানবালা এলাকায় এমভি আল-বাখেরা নামে সারবাহী একটি জাহাজে হামলা চালিয়ে ৭ জনকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের আগামী ২৬ ডিসেম্বরের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। বেধে দেয়া এই সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে দেশের সকল নৌ-শ্রমিকরা কর্মবিরতিসহ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম বলেন, প্রশাসন নির্বিকার দায়িত্ব পালন করছে। ৮ জন মানুষকে জবাই করে হত্যা করার পরও এখনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। একজন অলরেডি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আগামী ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকল সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করতে হবে। তা না হলে ২৭ তারিখের সূচনা লগ্ন থেকে বাংলাদেশের সকল নৌ-শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সারাদেশে নৌপথের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে। মৃত্যুবরণকারী প্রত্যেক পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে অনুদান দিতে হবে। আহত ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা শান্তি চাই। স্থিতিশীলতা চাই। আমরা কোনো রকম অস্থিতিশীলতা চাই না। আমাদের দাবি ২৬ তারিখের মধ্যে পূরণ করতে হবে। তা-না হলে ২৭ তারিখের সূচনা লগ্ন থেকে বাংলাদেশের সকল নৌ-শ্রমিকরা লাগাতার কর্মবিরতি পালনসহ আন্দোলন করবে। এর প্রতিকার করেই শ্রমিকরা ঘরে ফিরবে। খুনিদের ফাঁসি না হলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। যারা জবাই করেছে তারা মানুষ হতে পারে না, তারা অমানুষ। সারাদেশব্যাপী আন্দোলন চলবে। এদের বিচার না করলে আন্দোলন চলবে। সরকার যেখানে মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে না, তারা সেখানে কীভাবে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা দিবে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম বলেন, চাঁদপুরে শ্রমিকের ওপর হামলার সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি খুনিদের না ধরে তাহলে শ্রমিকরা তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিজেরা করবে। ৭ জন মৃত্যুবরণ করেছে। একজন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। কিন্তু এ অবস্থায় সরকার নীরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা চাই আগামী ২৬ তারিখের ভেতরে সন্ত্রাসীদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সন্ত্রাসীদেরকে না ধরলে শ্রমিকরা কর্মবিরতি দিবে।

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সহসভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। আমরা আর শ্রমিক হত্যা চাই না। আমরা আমাদের নিরাপত্তা চাই। কীভাবে হত্যাকাণ্ড করা হয়েছে, সরকারকে এর জবাব দিতে হবে। প্রশাসন ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে। আমরা নিরাপত্তা চাই। আমরা খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। সরকার পরিবর্তন হলেও সন্ত্রাসীরা এখন আগের জায়গায় আছে।

এসময় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রায় শতাধিক শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।