শহীদ মিনারে আড়াই লাখ মানুষের জমায়েতের পরিকল্পনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের
‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ ঘিরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মঙ্গলবার আড়াই লাখ মানুষের জমায়েতের পরিকল্পনা করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন সংগঠনটির মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ ঘিরে অন্তত ৫০০ জন পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। আগামীকাল মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) থেকে নতুন স্বপ্ন দেখবে বাংলাদেশ। আগামীর বাংলাদেশে যে সরকারই আসবে, এই ঘোষণাপত্র সীমারেখা হয়ে কাজ করবে। এর মধ্য দিয়ে বস্তাপচা রাজনীতির অবসান হবে।
আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সব রাজনৈতিক দল এই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানাবে বলে আশা করছি। সেই সঙ্গে নতুন বছর উদযাপন ও জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের অনুষ্ঠান ঘিরে যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রশাসনের পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
কী থাকবে ঘোষণাপত্রে এমন প্রশ্ন তিনি বলেন, ৩ আগস্টের এক্সটেন্ডেড ভার্সন আগামীকাল হতে যাচ্ছে। ফ্যাসিস্টের পতনের পর নতুন প্রক্লেমেশন দিয়ে সেটাকে আমরা জাতির কাছে ডকুমেন্টেড করে তুলতে চাচ্ছি।
তিনি বলেন, মঙ্গলবারের ঘোষণাপত্রে এমন একটা সীমারেখা আগামী দিনের সরকারকে দিয়ে যাওয়া হবে, তার বাইরে যেন কোনো সরকার যেতে সাহস না করে।
বস্তাপচা রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে ১ জানুয়ারি থেকে নতুন রাজনীতির উদ্ভব হবে দেশে। সেই রাজনীতি কিসের ওপর ভিত্তি করে হবে সেটা আগামীকাল ডকুমেন্ট আকারে প্রকাশ করতে যাচ্ছি, বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাহাত্তরের পর থেকে বাংলাদেশের সব সরকারই সীমারেখা অতিক্রম করেছে। মানুষের অধিকার হরণের সীমারেখা যাতে কেউ অতিক্রম করতে না পারে সেটা ভবিষ্যতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক তাদের জন্য চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের শক্তির পক্ষ থেকে সীমারেখা আমরা টানতে চাচ্ছি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠান উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল থেকে শহীদ মিনারে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। তিনটা থেকে শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান।