সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চাঁদপুরে একই পরিবারের নিহত ৩

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁদপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

হবিগঞ্জের আকিজ রেঞ্জারের কারখানায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন চাঁদপুরের একই পরিবারের তিন শ্রমিক। আরও দুইজন গুরুতর আহত। গত মঙ্গলবার এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। স্বজন হারানো পরিবারে চলছে এখন শোকের মাতম। 

বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে তাদেরকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন শোকাবহ পরিবার।

বিজ্ঞাপন

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হবিগঞ্জের বাহুবলে আকিজ ডেঞ্জারের কারখানায় প্রায় ৩০ বছর ধরে শ্রমিকের কাজ করতেন চাঁদপুরের রামপুর ইউনিয়নের আলগী গ্রামের মো. ইব্রাহিম খান বতু। বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন স্বপ্ন ছিল শেষ বয়সে অবসর সময় পার করবেন সেখানে। স্বপ্ন অঁধরা রেখে তিনি পাড়ি জমিয়েছেন পরপারে। কারখানার সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে নিহত হন তিনি। এ ঘটনায় নিহত হয়েছে তার আরও দুই নিকট আত্মীয়। তারা হলেন ভাগিনা মৈশাদী গ্রামের মোহাম্মদ মিজান ও ফরিদগঞ্জের বালিথুবা গ্রামের মাহফুজ। এছাড়াও আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে তার বড় ছেলে মোহাম্মদ আল আমিন। সংসারের চাহিদা মেটাতে এদের সবাইকে কাজে নিয়েছিলেন তিনি।

ইব্রাহিম খান বতুর স্ত্রী কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার সংসার দেখার মতো আর নাই। আমার ছেলেদের একটা চাকরীর ব্যবস্থা করে দিলে সংসারটা চলবে। যে সংসার চালাতো সেই নেই। সে চলে গেছে, আর কেউ রইলো না।

বিজ্ঞাপন

ভাতিজা কাউছার হোসেন বলেন, একই পরিবারের তিনজন মারা গেছে। দুইজন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন। একজন সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আরেকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তারাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। ইব্রাহীম কাকা দুই বছর ধরে একটি ভবনের কাজ ধরেছে। দুই মাস আগেও এনজিও থেকে তিন লাখ টাকা ঋণ নেয়। এখন তার এক ছেলে গুরুতর আহত। কোম্পানী ও সরকার যদি সহায়তা না করে, তাহলে সবার সংসারগুলো পথে বসার উপক্রম হবে।

ভায়রা লতিফ পাটোয়ারী বলেন, পরিবারে ইব্রাহীম ছাড়া আর উপার্জনকারী কেউ নাই। এক মেয়ে, তিন ছেলে ও স্ত্রী রয়েছে। ছেলেটাও গুরুতর আহত। ৩০ বছর ধরে এই কোম্পানীতে চাকরী করেন ইব্রাহীম। যদি তারা পরিবারটির উপর একটু সহায় হোন।

তিনজনের মৃত্যু সংবাদে বাকরুদ্ধ পরিবার ও এলাকাবাসী। কোম্পানি এবং সরকারের কাছে সহায়তার দাবি তাদের।