ফুলের মেলায় সুরভিত চট্টগ্রামের ডিসি পার্ক

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফুলের মেলায় সুরভিত চট্টগ্রামের ডিসি পার্ক/ছবি: সংগৃহীত

ফুলের মেলায় সুরভিত চট্টগ্রামের ডিসি পার্ক/ছবি: সংগৃহীত

তৃতীয়বারের মতো চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট ডিসি পার্কে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী ফুল উৎসব। পার্কজুড়ে সৌরভ ছড়াচ্ছে ১৩৬ প্রজাতির দুই লাখের বেশি বাহারি ফুল।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৪ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব চলবে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে পার্কটি। জনপ্রতি টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা।

এবারের উৎসবে মাল্টি কালচারাল ফেস্টিভ্যাল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গ্রামীণ মেলা ও পিঠাপুলি উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে চিত্রশিল্পীদের আঁকা প্রায় ২০০টি চিত্রকর্ম এবং ক্যারিকেচার আঁকার বিশেষ ব্যবস্থা। প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার শিল্পীদের পরিবেশনায় থাকবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

বিজ্ঞাপন

উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান এবং চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চট্টগ্রামের বড় ঐতিহ্য হচ্ছে মেজবান। এটা বছরের পর বছর ধরে চলছে বিধায় ঐতিহ্যতে রূপ নিয়েছে। একইভাবে যদি এ ফুল উৎসব টিকিয়ে রাখা যায় আগামীতে এটাও চট্টগ্রামের ঐতিহ্যে রূপ নেবে। চট্টগ্রামের মানুষের এ উদ্যোগ যখন দেশের সবাই জানতে পারবে তখন অন্যরাও ফুল উৎসব করার জন্য এগিয়ে আসবে এবং এটার জন্য সরকার সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।

তিনি আরো বলেন, ফুল আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ফুল মনের জড়তা, সংকীর্ণতা দূর করে মানুষের মনকে নির্মল আনন্দ দেয়।জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের জীবনে ফুল ব্যবহার হয়ে থাকে। আগামী প্রজন্মের মনে ফুলের মাধুর্যকে ফুটিয়ে তুলতে এ ফুল উৎসব সহায়তা করবে।

জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন। স্থানীয় সরকারের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. খোরশেদ আলম খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. নুরুল্লাহ নুরী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, ফুল পবিত্রতার প্রতীক। আমরা মানুষকে যখন আর্শীবাদ জানাই তখন বলি, তোমার জীবন ফুলের মত সুন্দর হোক। তাইতো ফুল উৎসব। আগে এ জায়গাটা মাদকের অভয়ারণ্য ছিল। দখলদার ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে ১৯৪ একর জায়গাকে উদ্ধার করে ফুলের পবিত্র ভূমিতে উন্নীত করতে পেরে আনন্দ অনুভব করছি। এ ফুল উৎসবকে শুধু মাসব্যাপি না করে সারাবছর যাতে করা যায় এ বিষয় নিয়ে আমাদের চিন্তা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৪ একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ডিসি পার্কে রয়েছে তিনটি বিশাল পুকুর, ফুডকোর্ট, পর্যটকদের বসার স্থান, সেলফি কর্নার, অনুষ্ঠানস্থল, ভাসমান ফুল বাগান, শিশুদের খেলার মাঠ, স্থায়ী ফুলের বাগান ও টিউলিপ গার্ডেন। এছাড়া হাটার উন্মুক্ত স্থান, অস্থায়ী খেলার মাঠ, ভিআইপি জোন, কন্ট্রোল রুম, রেস্টুরেন্ট, সানসেট ভিউ পয়েন্ট ও পাবলিক টয়লেটের সুব্যবস্থা রয়েছে।