চারদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে মৃত্যুর কাছে হার মেনেছেন ভলভো ব্যাটারীর সিসা কারখানায় রোটারি ড্রাম বিস্ফোরণে দগ্ধ শ্রমিক ফারুক হোসেন (৩৪)।
ফরিদপুরের মধুখালীতে পান্না গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ভলবো ব্যাটারির সিসা কারখানায় কাজ করতেন ওই উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের ফারুক।
ফরিদপুরের মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম নুরুজ্জামান ফারুকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার পরিক্ষীতপুর এলাকায় আলতু খান জুট মিলের অভ্যন্তরে অবস্থিত সিসা কারখানায় ভয়াবহ রোটারি ড্রাম বিস্ফোরণ ঘটে। এতে উপজেলার মেছোরদিয়া গ্রামের মো: শাহাবুদ্দিন (৩৫), বোয়ালিয়া গ্রামের ফারুক (৩৪) এবং চাঁনপুর গ্রামের বিপ্লব (৩৪) মারাত্মক আহত হন।
আহত ৩ শ্রমিককে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। তার মধ্যে আজ ফারুকের মৃত্যু হলো। হাসপাতালের মৃত্যুর সাথে লড়াই করছেন শাহাবুদ্দিন ও বিপ্লব।
সে সময় ফরিদপুরের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন বিস্ফোরনে দুজনে শরীরের ৬৫ থেকে ৭৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ পান্না গ্রুপের চেয়ারম্যান লোকমান খান প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন অবৈধভাবে জুট মিলের মধ্যে সিসা কারখানা চালিয়ে আসছিল। গত এক যুগে সিসা পোড়ানোর ফলে গ্যাসে আশেপাশের বাসিন্দারা শারীরিকভাবে ক্ষতি ও মাঠের ফসলি ক্ষতি হলেও কারো কাছে অভিযোগ করেও পাত্তা পাননি।
কারখানা অভ্যন্তরে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরও আলতু খান জুটমিল অভ্যন্তরে কোন সংবাদকর্মী প্রবেশ করতে পারেনি।
পান্না গ্রুপের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেনের পিএস মোঃ মনসুর হেলাল জানান, বাংলাদেশে সিসা রিসাইকেলিং এর মাত্র তিনটি বৈধ প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে আমাদের টা অন্যতম।
স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এই ধরনের অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা ও বানোয়াট। কারখানার ফলে আশেপাশের কারো কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।