বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএলের) টিকিট ছাড়াই মিলছে (গ্র‍্যান্ড স্ট্যান্ড) ভিআইপি আসন। দেড় হাজার টাকা চুক্তিতে বিসিবির কার্ডধারী নিরাপত্তাকর্মী (সিকিউরিটি) নিজেই বিসিবির গাড়ি দিয়ে নিয়ে যান ভিআইপি গ্যালারিতে।

শুক্রবার (১০জানুয়ারি) বিকেলে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মেইন গেইটের পাশে এনাম নামে এক সিকিউরিটিকে পাকড়াও করে জনতা ও গণমাধ্যম কর্মীরা। পরে তাকে নিয়ে যায় স্টেডিয়ামের অপর দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীরা।

এই ঘটনার পরপর সংশ্লিষ্টরা তার কার্ড জব্দ করেন ও ঢাকায় বিষয়টি অবগত করেন।

জানা যায়, শুক্রবার দুরন্ত রাজশাহী-খুলনা টাইগার্সের ম্যাচ চলাকালে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মেইন গেইটের পাশে টিকিট কালোবাজারি চক্রের পাশে বিসিবির সিকিউরিটি গার্ড এনামকে পাওয়া যায় টিকিট ছাড়া দেড় হাজার টাকার বিনিময়ে গ্র‍্যান্ড স্ট্যান্ড (ভিআইপি) গ্যালারিতে বসিয়ে দেয়ার দর কষাকষি করছেন। এ সময় পরিচয় গোপন রেখে সেখানে গিয়ে এই প্রতিবেদকসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা দর্শক সেজে কথা বলেন এনামের সাথে। তখন তিনি বিসিবির লোক পরিচয় দেন ও দেশের সব ভেন্যুতে তিনি কাজ করতে পারেন বলে জানান। এসময় নিজের পরিচয় দিতে দেখান বিসিবি কর্তৃক তাকে দেয়া কার্ড ও ওয়াকিটকি। এসময় সাংবাদিক পরিচয় দিলে মূহুর্তে সব অস্বীকার করেন সিকিউরিটি এনাম। সঙ্গে সঙ্গে জনতা তাকে পাকড়াও করে বিসিবির দায়িত্বশীলদের কাছে হস্তান্তর করে।

এমন কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ দর্শকরা। তারা বলছেন বিসিবির কর্মচারীরা এভাবে কালোবাজারিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমাদেরকে ফাঁদে ফেলে বেশি দামে টিকিট বিক্রি করে।

এব্যাপারে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সিকিউরিটি কমিনিউটির সিনিয়র সিকিউরিটি কো-অর্ডিনেটর আলী ওয়াসিকুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এনাম ঢাকা থেকে এসেছিলো। ঘটনাটি জানতে পেরে আমরা সঙ্গে সঙ্গে তার কার্ড জব্দ করেছি। সেই সাথে ঢাকায় জানানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা ঢাকা থেকে গ্রহণ করা হবে।কারণ কার্ড ওইখান থেকে দেয়া হয়েছিল।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্মৃতি স্মরণে জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগীয় খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে। টি–টোয়েন্টি ঘরানার এই ম্যাচে চট্টগ্রাম বিভাগের নামি-দামি ক্রিকেটাররা অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

আয়োজক কমিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লাল ও সবুজ দলে ভাগ হয়ে খেলবে দল দুটি। আর এই ম্যাচের বিজয়ী দল খেলবে ঢাকায় চূড়ান্ত পর্বে।

এরই মধ্যে ম্যাচটির জন্য দল গঠন করা হয়েছে। এ ম্যাচকে ঘিরে দিনব্যাপি কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল।

সকাল ১০টায় জাসাসের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বেলা সাড়ে ১১টায় বেলুন উড়িয়ে ম্যাচের উদ্বোধন আর বেলা ১২টায় শুরু হবে ম্যাচ। ম্যাচের উদ্বোধনী এবং পুরস্কার বিতরণীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সিজেকেএস সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক এবং জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক মশিউল আলম স্বপন।

তিনি বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময়ে এদেশে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় গঠিত হয়। শুধু তাই নয়, তার আমলেই সারা দেশে মিনি স্টেডিয়াম গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ১৯৯১ সালে এবং ২০০১ সালে যখন বেগম খালেদা জিয়ার সরকার ছিল তখনো খেলাধুলার মান উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু গত ১৬ বছরে দেশের খেলাধুলাকে রাজনীতিকরণ করে দলীয়করণ করা হয়। ফলে দিন দিন খেলাধুলার মান নিচে নেমে গেছে। তাই বিএনপি এখন চেষ্টা করছে খেলাধুলার আগের সেই জৌলুশ ফিরিয়ে আনতে।’

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের মিডিয়া উপ–কমিটির আহবায়ক আর ইউ চৌধুরী শাহিন, নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল আলম, শাহ আলম ও প্রচার উপ–কমিটির আহবায়ক মোশাররফ হোসেন দীপ্তি।

উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা কমিটির জয়নাল আবেদীন জিয়া, সালাউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম নিশাদ, আব্দুল হালিম স্বপন, আমিনুল ইসলাম, ফজলুল হক সুমন, নুর জাহেদ বাবলু। 

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) কোন কিছু না জানিয়ে লালমনিরহাটের দহগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখার মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ নিয়ে বিএসএফ ও বিজিবি সীমান্তে অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন করায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল থেকে বাংলাদেশ-ভারত প্রধান পিলার ডিএমপি ৮ নম্বরের উপপিলার ৪৬ থেকে ৩৭ নম্বর সীমান্তের প্রায় অর্ধকিলোমিটারের মধ্যে বেড়া স্থাপন করা হয়।

বিজিবি ও সীমান্তের স্থানীয় সূত্র জানায়, ভারতের কোচবিহার রাজ্যের ৬ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের করুণ ক্যাম্পের বিএসএফের সদস্যরা আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন না মেনে শূন্যরেখার দেড়শো গজের একদম শেষ অংশে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করেছে। পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তের বাংলাদেশ-ভারত প্রধান পিলার ডিএমপি ৮ নম্বরের উপপিলার ৪৬ থেকে ৩৭ নম্বর সীমান্তের প্রায় অর্ধকিলোমিটারের মধ্যে বেড়া স্থাপন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। প্রায় ৩০/৩৫ জন নির্মাণ শ্রমিক দিয়ে লোহার অ্যাঙ্গেলে তৈরি খুঁটির মধ্যে প্রায় ৪ ফুট উচু কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করে।

শূন্যরেখার দেড় শত গজের শেষ অংশে স্থানীয়রা এসব স্থাপন করতে দেখে বিজিবিকে খবর দেয়। রংপুর ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি ও দহগ্রাম ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বেড়া স্থাপনে বাধা দেয়। কিছু সময় নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখলেও পরবর্তীতে কয়েকশত বিএসএফ সদস্য এবং লোকজন নিয়ে আবারও বেড়া স্থাপনের কাজ করতে থাকে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্তে বিএসএফের অসংখ্য সদস্য মোতায়েন করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। গোটা দহগ্রাম ইউনিয়ন সীমান্তে বিজিবিকেও সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (এডি) আমীর খসরু বলেন, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিএসএফকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। প্রথমে বন্ধ করে কিছুক্ষণ পর আবার শুরু করলে এ নিয়ে টান টান অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। সীমান্তে নজরদারী বাড়ানোর পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। 

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে স্থানীয় দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ও দ্বীপবাসীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দিনব্যাপী বাংলাদেশ নৌপরিবার কল্যাণ সংঘের পক্ষ থেকে কমান্ডার বিএন ফ্লিট এর ব্যবস্থাপনায় এসব কার্যক্রমের তথ্য জানায় আইএসপিআর।

আইএসপির থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নৌবাহিনী ফরওয়ার্ড বেইজ সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী সুবিধাবঞ্চিত, অসহায় ও দরিদ্র ২৫০টি পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এর পাশাপাশি উক্ত জাহাজের মেডিকেল টিম বিএন ইসলামিক স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। দিনব্যাপী এ ক্যাম্পেইনে দ্বীপের বিভিন্ন বয়সের শিশু, নারী-পুরুষরা চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে। এছাড়াও তাদের মাঝে বিনামূল্যে ঔষধ সামগ্রী প্রদান করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ নৌবাহিনী সেন্টমার্টিন দ্বীপের স্থানীয় জনগনের স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ যে কোন সহায়তায় নিয়মিতভাবে এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে