ফরিদপুরে আসামি গ্রেফতারের দাবিতে সড়ক অবরোধ
ফরিদপুর সদরের কানাইপুরে ওবায়দুর রহমান খান (৩২) নামের এক যুবক কুপিয়ে, পিটিয়ে ও চোখ উপরে ফেলে হত্যা করার প্রতিবাদে আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে ওবায়দুরের মরদেহ নিয়ে কানাইপুর বাজার এলাকায় উপস্থিত হয় তার পরিবার।
এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী সন্ত্রাসী খাজা ও কানাইপুরের ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের গ্রেফতারের দাবিতে ফরিদপুর- যশোর মহাসড়ক প্রায় এক ঘন্টা অবরোধ করে রাখে।
ওবায়দুরের বড় ভাই রাজীব খান বলেন, আমার ভাইকে সন্ত্রাসী খাজা ও তার বাহিনী খুন করেছে। আমরা আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। গত ৫/৬ মাসে খাজা কানাইপুর বাজার ও আশেপাশের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা চাঁদা তুলেছে। সেই টাকার গরমে আরো বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে খাজা বাহিনী।
রাজীব আরও বলেন, গতকাল বিকেল ৪টার দিকে কানাইপুর পল্লী বিদুৎ অফিসের সামনে মমতাজ ফিলিং স্টেশনে মোটর সাইকেলে তেল নিতে গিলে সেখান থেকে অটোরিক্সা ও মোটর সাইকেল যোগে আমার ভাইকে তুলে নিয়ে যায় খাজা বাহিনী। সে সময় তার বাহিনীর নাজমুল, রাসেল, জাহিদ, মুরাদ, রেজাউল, নিজাম, রাশেদসহ ১২/১৪ জন ছিলেন। এসময় আমার ভাইয়ের মোটর সাইকেলটিও নিয়ে যায় তারা।
তিনি বলেন, তুলে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে আমরা আমার ভাইকে খুজাঁখুজি শুরু করি। ঘন্টাখানেক পর জানতে পারি আমার ভাইকে কে বা কারা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে। আমার ভাইয়ের চোখ খুচিয়ে উপরে ফেলছে। একটি পা ভেঙ্গে দিয়েছে। রাত ৭টার দিকে ঢাকা রেফার্ড করলে পথিমধ্যে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মারা যায় বলে জানান ভাই রাজীব।
এক পর্যায়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও ওবায়দুরের স্বজনদের দ্রুত আসামী গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি আসাদউজ্জামান বলেন, শনিবার দুপুরে ময়নাতদন্তের পর ওবায়দুরের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় তারা কিছু সময় কানাইপুর বাজারে বিক্ষোভ করে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী খায়রুজ্জামান ওরফে খাজা ও তার বাহিনী ওই যুবকের উপর হামলা করে। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি মারা যান। ওবায়দুর কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের বিল্লাল খানের ছেলে।