সিলেট আজকে কি করছো এটা মনে থাকবে: আজহারী
সিলেটে প্রায় এক যুগ পর আঞ্জুমানে খেদমতে কুরআন'র আয়োজনে তিনদিনব্যাপী ৩৬তম তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাহফিলের শেষদিনে কিছুসংখ্যক শ্রোতাদের বার বার ধাক্কাধাক্কি ও বোতল ছুড়ার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে বয়ান অসম্পূর্ণ রেখেই মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল শেষ করেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
শনিবার (১১জানুয়ারি) রাতে সিলেট এমসি কলেজ মাঠে আঞ্জুমানে খেদমতে কুরআন আয়োজিত তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মাহফিলে পূর্ব নির্ধারিত ছিলো মাওলানা ড.মিজানুর রহমান আজহারীর বয়ানের সময় সূচী। রাত ৮টা ১১ মিনিট থেকে রাত ১০টা ১০মিনিট পর্যন্ত বয়ান পেশ করবেন। সময় মতো মঞ্চে উঠেও ছিলেন তিনি। বয়ান শুরুর কয়েক মিনিটের মাথায় মাহফিলের প্যান্ডেলের শ্রোতারা ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন ও বোতল ছুড়ে মারেন সামন থেকে পেছনে এবং পেছন থেকে সামনে। এসময় তিনি উপস্থিত শ্রোতাদের শান্ত থাকার জন্য বলেন। এভাবে মাহফিলের মধ্যে কয়েকটি স্থানে কয়েকবার শ্রোতারা হট্টগোল করেন তবে আজহারী তখনও তাদেরকে বুঝিয়ে বলে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু শান্ত হয়নি প্যান্ডেলের ডান পাশের কিছু সংখ্যক যুবক।
মধ্যখানে ফের ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে ড.মিজানুর আজহারী বলেন, এটা পরিকল্পিত কিছু হতে পারে বলে আমাদের ধারণা করতে হবে। লাখ লাখ মানুষ বসে আছে তোমারা একটু শান্ত হবা না?
বক্তব্যের দেড়ঘন্টার মাথায় অনেক অনুরোধ করে শান্ত করতে না পেরে মিজানুর রহমান আজহারী বিরক্ত হয়ে বক্তব্য শেষ না করেই 'সিলেট ওকে আমি বিদায় নেই, যা তোমরা দেখালা ইটস গুড এনাফ ফোর টু-নাইট। 'সিলেট আজকে কী করছো এটা মনে থাকবে' বলে দোয়া করব বিদায় নেন।
এদিকে, মিজানুর রহমান আজহারীর এমন মন্তব্যে সচেতন মহল বলছেন-এমসি মাঠের আয়োজনে সিলেটের স্থানীয় লোকের চাইতে বহিরাগত লোকই বেশি ছিলেন। যে কারণে এমনটি ঘটেছে। আজহারি সিলেটবাসীর দিকে আঙ্গুল তুলে কথা বলা উচিত হয়নি।
এর আগে বয়ান চলাকালে ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, দেশে আমরা চাঁদাবাজি-দখলবাজি চাই না। এ দেশে কোনো দুর্নীতি ও টেন্ডারবাজিও আমরা চাই না।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি ক্ষমতার যখন পালা বদল হয় তখন এক সরকার যায়, আরেক সরকার আসে। তখন আমরা দুর্নীতির ফিরিস্তি জানতে পারি, তার আগে কিন্তু জানতে পারি না। প্রতিটি দলের ভেতরে আমরা এই বাজে স্বভাবটা দেখেছি। তাই এখন আমাদের শুধরে নেওয়ার সময় এসেছে। এটাই সুন্দর সময়, নতুন প্রভাতের বাংলাদেশ, নতুন ভোরের বাংলাদেশে। এ সময় আমরা যেন কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি না করি।