নেসকোর মতবিনিময় সভায় মুজিব বর্ষের ছবি প্রদর্শন, তুমুল হট্টগোল
রংপুর নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাইয়ের (নেসকো) প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপনবিষয়ক মতবিনিময় সভার প্রেজেন্টেশনে বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ মুজিব শতবর্ষের লোগো ব্যবহার করা নিয়ে তুমুল হট্টগোলের মধ্য পণ্ড হয়ে গেছে সভা।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সৃষ্টি হয় হট্টগোল।
এসময় নিজেদের অবস্থান ও প্রিপেইড মিটারের কার্যকলাপ সম্মিলিত একটি ডকুমেন্টরি উপস্থাপন করে নেসকো। সেখানে মুজিববর্ষের ছবি প্রদর্শিত হলে, দেখা দেয় যায় চরম উত্তেজনা। এরপর সভা বর্জন করেন সকলেই। সেই সঙ্গে নেসকোর কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবি করেন তারা।
এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, সভাটি শুরু হওয়ার পর প্রেজেন্টেশনে মুজিববর্ষের ছবি ভেসে ওঠে। তারা এখনও মুজিববাদের দর্শনে বিশ্বাসী। ক্ষোভ প্রকাশ করছি তাদের প্রতি।
রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব পলাশ কান্তি নাগ বলেন, মুজিববর্ষের ছবি ব্যবহারে নেসকো প্রমাণ করেছে তারা আওয়ামী দোসর। তারা যে বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে আছে, এটি তারই প্রমাণ।
এদিকে বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেন রংপুর নেসকোর চিফ ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম মন্ডল জানান, এ রকম ঘটনা কীভাবে হল তা তদন্তাধীন বিষয়। এটি তার প্রতিষ্ঠানের হলেও এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া কথা জানান তিনি।
রংপুর জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল বলেছেন, সভাকে বিতর্কিত করতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এটি করা হয়েছে। এটি নেসকোর নিজস্ব প্রেজেন্টেশন। মুজিব বর্ষের ছবি দেখা মাত্র সকলে মিলে প্রতিরোধ করেছি। বিষয়টি সংশিষ্ট মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে পত্র মারফতে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, রংপুর জেলাকে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনতে গত বছরের শেষ দিক থেকে কার্যক্রম হাতে নেয় নর্দান ইলেকট্রিসি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো)। এরপর থেকে সাধারণ গ্রাহকরা এর নেতিবাচক দিক উল্লেখ করে তা বন্ধের দাবি জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আয়োজন করে জেলা প্রশাসক।
এই সভায় উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনকারী সাধারণ গ্রাহক, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা ছাড়াও, নাগরিক কমিটি, সুশীল সমাজ, বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠন, সংবাদকর্মী ও নেসকোর কর্মকর্তারা।