যৌন নিপীড়ন মামলায় মাদরাসার অধ্যক্ষসহ দুইজনের যাবজ্জীবন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ ও উত্তর পতেঙ্গা এলাকায় পৃথক দুই যৌন নিপীড়নের মামলায় এক মাদরাসার অধ্যক্ষসহ দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। উভয় আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এই রায় ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানার দেওঘর এলাকার মাকসুদুর রহমান (২৮) ও নোয়াখালীর চরজব্বার থানার পূর্ব চরভাটা এলাকার জোবায়ের হোসেন (২৭)। দণ্ডপ্রাপ্ত মাকসুদুর নগরের উত্তর পতেঙ্গা জামিয়াতুল মদিনা মাদরাসার অধ্যক্ষ ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, রায়ের সময় মাকসুদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে জোবায়ের আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর চট্টগ্রামের উত্তর পতেঙ্গা এলাকায় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে যৌন নিপীড়ন করেন মাকসুদ। শিশুটি জামিয়াতুল মদিনা মাদরাসার শিক্ষার্থী ছিল। ঘটনার দিন মাকসুদ শিশুটিকে মাদরাসায় ডেকে নিয়ে তার নিজ কক্ষে যৌন নিপীড়ন করেন। পরে ভিকটিমের বাবা পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন।

অন্যদিকে, ২০১৯ সালের ৬ জুলাই পাঁচলাইশ থানার পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকায় ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকে যৌন নিপীড়ন করেন জোবায়ের। তিনি ওই এলাকার একটি দোকানের কর্মচারী ছিলেন। এ ঘটনায় শিশুটির মা পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন।

দুটি মামলাতেই যথাক্রমে ছয় ও সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন। মামালায় মাদরাসার অভিযুক্ত আরেক শিক্ষক নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বিচারকের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন জানিয়েছেন, যৌন নিপীড়নের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন।