টেকনাফে আসার পথে পণ্যবাহী নৌকা আটকে দিল আরাকান আর্মি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

এক মাস পর আবারও মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফনদীর মোহনায় তিনটি পণ্যবাহী নৌকা আটকে দিয়েছে সেদেশের বিদ্রোহী শসস্ত্রগোষ্ঠি আরাকান আর্মি।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাফনদীর মোহনায় সেদেশের জলসীমায় নাক্ষ্যংকদিয়া নামক এলাকায় তল্লাশির নামে নৌকা তিনটি আটকে রাখে আরাকান আর্মি।

বিজ্ঞাপন

টেকনাফের স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোট লিমিটেড মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেন । তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে মিয়ানমারের থেকে পণ্যবাহী তিনটি বড় নৌকা টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার কথা রয়েছে। কিন্তু নাফনদীর মাঝপথে তল্লাশি কথা বলে আটকে দেয়। এখন পর্যন্ত কোন খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধে গত ৮ ডিসেম্বর রাখাইন রাজ্যে মংডু টাউনশিপ আরাকান আর্মির দখলে নেয়। এরপর থেকে কোনো পণ্যবাহী জাহাজ বন্দরে আসেনি। সর্বশেষ মিয়ানমার থেকে ৩ ডিসেম্বর টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ এসেছিল।

বিজ্ঞাপন

স্থলবন্দর ও কয়েকজন ব্যবসায়ীর তথ্য মতে, ‘দীর্ঘ এক মাস পর মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে বাণিজ্যের পণ্যবাহী তিনটি নৌকা টেকনাফ স্থলবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে নাফনদীর মোহনায় সেদেশের জলসীমানায় নাক্ষ্যংকদিয়া নামক এলাকায় তল্লাশির নামে নৌকা তিনটি আটকে দেয় আরাকান আর্মি।

আরাকান আর্মির তল্লাশি করা বড় দুটি পণ্যবাহী নৌকায় আচার, শুঁটকি, সুপারি, কপিসহ বিভিন্ন মালামাল রয়েছে বলা জানা গেছে। তবে কি কি পণ্য রয়েছে এবং কি পরিমাণ পণ্য সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

স্থলবন্দরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘মূলত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টউিনশিপ আরাকান আর্মির দখলের নেওয়ার পর থেকে স্থলবন্দরের পণ্যবাহী ট্রলার আসা বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ গত ১৬ জানুয়ারি মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফনদীর মোহনায় পণ্যবাহী নৌকাগুলোতে তল্লাশি নামে আটকে রেখেছে।’

এ বিষয়ে টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে তিনটি পণ্যবাহী নৌকা টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার কথা রয়েছে। কিন্তু নাফনদীর মাঝপথে পণ্যবাহী নৌকাগুলো তল্লাশি চালানোর কথা শুনেছি। এরপর বোটগুলোর কোন খবর পাইনি।’

বিষয়টি টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দীন বার্তা২৪.কমকে বলেন, নৌকা তিনটি মিয়ানমারের। সেদেশের জলসীমা থেকে সেদেশের আরাকান আর্মি আটকে দিয়েছে। তবে পণ্যগুলো আমাদের ব্যবসায়ীদের। এক্ষেত্রে বিজিবির সাথে কথা বলতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে ২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।