বাহারি ফুলে ভরে গেছে ময়মনসিংহের গফরগাঁও সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস। সৌরভ ছড়াচ্ছে নানা রঙের ফুল। কলেজ ক্যাম্প্যাসে প্রবেশ করলে যে কারও মন জুড়িয়ে যাবে। প্রশাসনিক ভবন, বিজ্ঞান ভবন, একাডেমিক ভবনসহ পুরো ক্যাম্পাসের সামনে বাহারি ফুলের বাগান করা হয়েছে। এতে শিক্ষার পরিবেশ হয়ে উঠেছে মনোমুগ্ধকর।
গফরগাঁও কলেজ ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, প্রশাসনিক ভবন, বিজ্ঞান ভবনসহ প্রতিটি একাডেমিক ভবনের সামনে মনোমুগ্ধকর ফুলের বাগান তৈরি করা হয়েছে। বাগানগুলোতে শোভা পাচ্ছে তিন প্রকারের গাঁদা ফুল, কামিনী, পলাশ, চায়না টগর, হাসনা হেনা, সূর্যমুখী, জবা, শিউলী, কাঁঠালী, সিলভিয়া, নয়ন তারা ফুল ও বিভিন্ন প্রকারের ক্যাকটাস। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা ও ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে এসে বাগানের বেদিতে বসে সময় কাটায়। শুধু শিক্ষার্থী নয় কলেজ ছুটির পর স্থানীয় অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়ে নিয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন ও আনন্দ করেন।
দ্বিতীয় বর্ষ বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী নাবিলা জানায়, ক্যাম্পাস জুড়ে ফুলের বাগান থাকায় আনন্দ নিয়ে পড়ালেখা করা যায়। খুব ভালো লাগে। ছুটির পরেও বাসায় যেতে ইচ্ছে করে না।
একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আমাতুল জান্নাত বলেন, আমি কলেজে ভর্তি হয়ে যে পরিবেশ দেখছি। তার চেয়ে আমাদের কলেজ ক্যাম্পাস বহুগুণে সুন্দর হয়েছে। ক্যাম্পাসে এলেই মন জুড়িয়ে যায়। কলেজে আসলে খুব ভালো সময় কাটে। একটি সুন্দর ক্যাম্পাস উপহার দেওয়ায় অধ্যক্ষ স্যারকে ধন্যবাদ।
অনার্স বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহারিয়ার বলেন, আগে গফরগাঁও সরকারি কলেজের পরিবেশ এতো উন্নত ছিলো না। বর্তমান অধ্যক্ষ স্যার আসার পর কলেজের পরিবেশ আমূল পরিবর্তন হয়েছে। কলেজে বহিরাগতদের আড্ডা নেই নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা হচ্ছে । কলেজ ক্যাম্পাসে মনোমুগ্ধকর ফুলের বাগান, খেলার মাঠসহ অনেক উন্নয়ন হয়ছে।
শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সহকারি অধ্যাপক মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ফুল সবাই ভালোবাসে। বাগান হওয়ার ফলে কলেজের শিক্ষার পরিবেশ অনেক উন্নত হয়েছে। শিক্ষার্থীর উপস্থিতিও প্রায় শতভাগ।
গফরগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজী ফারুক আহাম্মদ বলেন, আগে কলেজ ছুটির পর ক্যাম্পাসে মাদকসেবী ও খারাপ প্রকৃতির ছেলেদের আড্ডা হতো। কিন্তু এখন পরিবেশ পাল্টে গেছে। ফুলের বাগান করার কারণে শিক্ষার্থীরাও আনন্দময় পরিবেশ পেয়েছে এবং কলেজ ছুটির পর অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে ক্যাম্পাস দেখতে আসেন। অর্থাৎ আনন্দময় সুস্থ্য ও স্বাস্থ্যকর একটা পরিবেশ বিরাজ করছে।
রাতভর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর অবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ হচ্ছে রাজধানীর সাত কলেজের।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে ঢাবি ভিসির জরুরি বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই সিদ্ধান্ত জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
লিখিত বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ঢাবি-সাত কলেজের অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করছি। জরুরি সভায় সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ভর্তি বন্ধ।
অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলো হলো, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সভায় জোর সুপারিশ করা হয়েছে। ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের আসন সংখ্যা ও ভর্তি ফি নির্ধারণসহ যাবতীয় বিষয়ও মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
তবে, যেসকল শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের অধীনে রয়েছে, তাদের শিক্ষাজীবন কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীল থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাবি উপাচার্য।
উল্লেখ্য, রাজধানীর ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ ও মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হিসেবে ছিল।
রাজধানীর এই সাত কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
এরপর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত থেকে বাদ দিতে বেশ কয়েকবার আন্দোলন হয়েছে।
আন্দোলনরত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের দাবির প্রতি আবারও সমর্থন ব্যক্ত করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
তিনি বলেন, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার। শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য রেখে বৈষম্যহীন সমাজ হয় না। উল্লেখ্য, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষা জাতীয়করণের যৌক্তিতা তুলে ধরে ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর ও ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে বক্তৃতা করেছিলেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে মূলধারার শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে একীভূত করা হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষার সনদের স্বীকৃতিও দেয়া হয়েছে। এমনকি প্রাথমিক থেকে মাদ্রাসা শিক্ষার বাকি অংশ একইভাবে এমপিও ভুক্ত হয়ে শতভাগ বেতন-ভাগ পাচ্ছে। কিন্তু, দুঃখজনক হলেও সত্যি অধিকারের আড়ালে রয়ে গেছে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা। দারিদ্রতার সঙ্গে যুদ্ধ করে এই সব মাদ্রাসা টিকে আছে। আর মানবেতর জীবন যাপন করলেও, দায়িত্ব পালনে অনিহা নেই স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের।
বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, যৌক্তিক দাবিতে দারিদ্রপীড়িত এই শিক্ষক সমাজ যখন আন্দোলনে নামে, তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়ে। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।
ঢাকা জেলার ধামরাইয়ে 'বুচাই পাগলার' মাজার ভাঙচুর এবং ভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনার চার মাস পর পুলিশকে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত করার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার ধামরাই আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুনাইদ এ আদেশ দেন।
আদেশে আগামী ২৯ জানুয়ারি নিয়মিত মামলা রুজু সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং ৬ মার্চ পিবিআইয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার, ঢাকাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার ধামরাই উপজেলায় বুচাই পাগলার' মাজারে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে আমলযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, যা পেনাল কোড ১৮৬০ এর ২৯৫/২৯৫এ/৪৩৫/৪৪১/৪২৭/১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩৮০/৫০৬/১০৯ ধারার অধীনে আমলযোগ্য ফৌজদারি অপরাধ। উক্তরূপে গুরুতর ফৌজদারি সংঘটিত হলেও উল্লেখিত অপরাধ সংক্রান্ত কোনো মামলা এ পর্যন্ত অত্র আদালত সিন করেনি।
CrPC, ১৮৯৮ এর ১৫৪ ধারা এবং PRB, ১৯৪৩ এর ২৪৩/২৪৪ বিধি অনুযায়ী, প্রতিটি আমলযোগ্য অপরাধের সংবাদ পাওয়া মাত্রই বিলম্ব না করে ওসি কর্তৃক থানায় মামলা রুজু করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু উল্লেখিত অপরাধের ক্ষেত্রে ওসি ধামরাই কর্তৃক কোনোকিছু করা হয়নি, যা ফৌজদারি কার্যবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আদেশে আদালত এ ঘটনায় পুলিশকে নিয়মিত মামলা রুজুর নির্দেশ দেন এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা জেলার বিশেষ পুলিশ সুপারকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।