শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে ফেনীর ফল ব্যবসায়ীরা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে ফেনীর ফল ব্যবসায়ীরা

শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে ফেনীর ফল ব্যবসায়ীরা

ফল বিলাস পণ্য নয়, ফল রোগের নিরাময়, ফল সাশ্রয়ী করুন সুস্থ জাতি গড়ুন, ফল সবার অধিকার শুল্ক কমিয়ে নিশ্চিত করুন এমন স্লোগানের প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ফলের ওপর অর্পিত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ফেনীর ফল ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) শহরের মহিপালে আয়োজিত মানববন্ধনে ফল ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানান। এসময় তারা ফলকে শিশু ও রোগীদের খাদ্য উল্লেখ করে তাজা ফলকে প্রয়োজনীয় পণ্য ঘোষণা করে সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য করে তোলার দাবি জানান।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হয়েছে। সে শুল্ক প্রত্যাহার করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ফেনীর ফল আড়ৎদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি।

মানববন্ধনে অংশ নেন ফল ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিকরা। এসময় তারা ফলকে সহজলভ্য করে সবার অধিকার নিশ্চিত করার আহবান জানান। ফল আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ বলছে শুল্ক বৃদ্ধি হওয়াতে আগে যেখানে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ ট্রাক ফল বিক্রি হত সেখানে ৩ থেকে ৪ ট্রাক বিক্রি হচ্ছে। শুল্ক প্রত্যাহার করার দাবি জানান তারা।

বিজ্ঞাপন

ফেনী ফল আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, কর প্রত্যাহার করে আমাদের ব্যবসা করার সুযোগ দেয়ার জন্য আমরা এ মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। অতিরিক্ত শুল্কের কারণে বেচাবিক্রি কম। এতে অনেক ব্যবসায়ী বেকার হয়ে যাচ্ছে। ক্রেতাদেরব ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে প্রতিটি ফল। আমাদের দাবি না মানলে পরবর্তীতে আরও কঠোর আন্দোলনে যাব।

ফেনী ফল আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রহিম উল্ল্যাহ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৬ মাস পর পর ফলের ওপর কর বৃদ্ধি করেছিল। বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের আশা ছিল কর কমিয়ে আনবে কিন্তু তারা না কমিয়ে বাড়িয়ে দিয়েছে। একজন মানুষের প্রতিদিন ৮০ গ্রাম ফল খেতে হয়। বর্তমান দাম অনুয়ায়ী কারও ক্রয় ক্ষমতা নেই। গরিব মধ্যবিত্তরা ফল কেনার কথা চিন্তাও করতে পারবেনা।

তিনি বলেন, ফল ব্যবসার সঙ্গে কোটি কোটি মানুষ জড়িত। এভাবে দাম বৃদ্ধি থাকলে ব্যবসা অচিরেই বন্ধ হয়ে যাবে।।আমাদের দাবি ফলের কর যাতে সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়।