হজ ও উমরা নীতির আলোকে ১০০ থেকে ৩০০ জনের কোটা নির্ধারণসহ ১৭ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন হাবের প্রতিষ্ঠাতা সহসভাপতি ও হাব ঐক্য কল্যাণ পরিষদের প্যানেল প্রধান সৈয়দ গোলাম সরওয়ার।
হাব ঐক্য পরিষদের ঘোষিত ১৭ দফায় রয়েছে- সব হজ এজেন্সি যাতে হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে তা নিশ্চিত করা, হজ ও উমরা নীতির আলোকে ১০০ থেকে ৩০০ জনের কোটা নির্ধারণের চেষ্টা, হজ টিকেটে বিমান ভাড়ার ওপর IATA রুলস অনুযায়ী কমিশন নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া, উমরা টিকেটের ওপর আরোপিত TAX প্রত্যাহারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, সৌদি মোয়াল্লেমের মাধ্যমে বাড়ী ভাড়া ও খাবার সরবারাহ বাতিল করে এজেন্সির তত্ত্বাবধানে ব্যবস্থা করা, রোড টু মক্কা বাতিল করার ব্যবস্থা নেওয়া, হজ চুক্তিতে হাবের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকার ব্যবস্থা করা।
হাব পল্লীর অমিমাংসিত বিষয়টি তিন মাসের মধ্যে সমাধান করা, হাব সদস্যদের মৃত্যু পরবর্তীতে পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ও অসুস্থতাজনিত সময়ে ১ লাখ টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া, হাব সংঘ-বিধি অনুযায়ী সব এজিএম যথাসময়ে করা, হাব সংঘ-বিধির প্রয়োজনীয় সংশোধন ও বিয়োজন, বার্ষিক ও ষান্মাসিক আয়-ব্যয়ের হিসাব সদস্যদের জানানো, হাব পরিবাবের কল্যাণে হাব ভবন নির্মাণ, হাব পরিবারের সন্তানদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য বৃত্তি, হাব সদস্যদের উমরা কার্যক্রম পরিচালনায় সুযোগ, এজেন্সিগুলোর মাঝে সমতার ভিত্তিতে হজ কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ এবং হাবে কোনো প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রশ্রয় না দেওয়া।
হাব ঐক্য কল্যাণ পরিষদের প্যানেল থেকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের অন্য প্রার্থীরা হলেন- ফরিদ আহমেদ মজুমদার (গোল্ডেন বেঙ্গল ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস), এএসএম ইব্রাহিম (ওয়ার্ল্ড লিংক এয়ারওয়েজ লিঃ), মোজাম্মেল হোসেন কামাল (হাসেম এয়ার ইন্টারন্যাশনাল), আকবর হোসেন মঞ্জু (আকবর ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল), শামীম সাঈদী (মাহদী ওভারসীজ), হাফেজ নূর মোহাম্মদ (দি সিটি ট্রাভেলস), মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ (বায়তুল্লাহ হজ এন্ড ট্রাভেল), নূরুল আলম শাহীন (কসমিক এয়ার ইন্টারন্যাশনাল), জাহিদ আলম (বাংলাদেশ এয়ার ট্রাভেলস), মোঃ আবু সালেহ্ রাজী জাভেদ (মোতালেব হজ্জ সার্ভিসেস), মোঃ কাউছার উদ্দিন (লাব্বাইক ওভারসীজ লিঃ), গোলাম মাহমুদ ভূঁইয়া মানিক (মদিনা স্টার ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস, এমএনএইচ খাদেম দুলাল (খাদেম এয়ার সার্ভিসেস), মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন দিলু (এস এস ইন্টারন্যাশনাল), বেলাল হোসেন মজুমদার (সাউথ ইষ্ট ট্রাভেলস), মোহাম্মদ জাফর উদ্দিন (ওশিন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল), মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (ক্যাপলান ওভারসীজ লিঃ), আহসানুর রহমান হাসান (আহনাফ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস), এ. কে. এম খালেদ ইকবাল বুলবুল (মেসার্স জারিফ এন্টারপ্রাইজ) ও মফিজুল ইসলাম (মদিনা ট্রাভেলস)।
একই প্যানেলের ঢাকা আঞ্চলিক পরিষদের প্রার্থীরা হলেন- মাওলানা আজিজুর রহমান বুলবুলী (বুলবুলী হজ্জ ট্রাভেলস) আলহাজ্ব মোঃ শহিদুল ইসলাম খান (ফিউচার এসোসিয়েটস ইন্টারন্যাশনাল), মোঃ তাছাদ্দুক হুসাইন দেওয়ান (বেসকো ট্রাভেল ইন্টারন্যাশনাল), আব্দুল হামিদ বিশ্বাস (মীম ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস), মাওলানা নূর আহমদ (নূর হজ্ব ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস), আলহাজ্জ মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ খান (সাদ ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস), মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন (মিনার ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস), মোঃ আলী আক্কাছ আপন (মীক এয়ার ইন্টারন্যাশনাল), ফজলুল হক (লাব্বাইক হজ্জ সার্ভিসেস), মোঃ হারুন অর রশীদ (নারায়ণগঞ্জ ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস), মোঃ মনিরুল ইসলাম মোল্লা (আর এস এম ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস), মোঃ নুরুল আমিন (আল-মারিয়া ট্রাভেলস) ও মোঃ শওকত আলী (লক্ষীপুর এয়ার ট্রাভেলস)।
এই প্যানেলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ চট্টগ্রামের প্রার্থীরা হলেন- আলহাজ্ব শরীয়ত উল্লাহ সহীদ (আল-নূর ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস), আলহাজ্ব মোঃ মোরশেদুল আলম চৌধুরী (আল-হেরা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস) ও মোহাম্মদ আব্দুল মালেক (সবুজ বাংলা ইন্টারন্যাশনাল)।
আর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ সিলেটের প্রার্থীরা হলেন- মোহাম্মদ আব্দুল হক (সিটি ওভারসীজ), মুহাম্মদ আব্দুল কাদির (ইকরা ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস) ও খন্দকার ইসরার আহমদ রাকী (সিপার এয়ার সার্ভিস)।
উল্লেখ্য, হাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি। এতে তিনটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। হাব ঐক্য কল্যাণ পরিষদ (প্যানেল প্রধান সৈয়দ গোলাম সরওয়ার), হাব ঐক্য ফোরাম (প্যানেল প্রধান ফারুক আহমেদ সরদার) ও হাব বৈষম্যবিরোধী গনতান্ত্রিক জোট (প্যানেল প্রধান এম এ রশিদ শাহ্ সম্রাট)।