রংপুরে ১৭২ আহতকে ১ কোটি ৭২ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রংপুরে জুলাই আন্দোলনে আহত ১৭২ জনকে ১ কোটি ৭২ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।

বৃহস্পতিবার ( ৩০ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর শিল্পকলা একাডেমিতে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে গুলিবিদ্ধ ও অঙ্গ হানীদের মাঝে বিভিন্ন পরিমাণ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় ১৭২ আহতদের মাঝে ১ কোটি ৭২ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করে সংগঠনটি। চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল,পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী, ফাউন্ডেশনের সিও মীর মাহবুব রহমান সিন্ধুসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।

বিজ্ঞাপন

চেক সহায়তা পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করে জুলাই বিপ্লবে আহতরা বলেন, আন্দোলনে নেমে ক্ষত নিয়ে পরিবারের উপর ভার হয়ে পরেছি তা কিছুটা কমলো। অভাবের সংসারে এত ব্যয়বহুল চিকিৎসা খুবই দুষ্কর৷ আজ জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে এক লাখ টাকার চেক দিল। এই টাকা পেয়ে অনেকটা উপকার হলো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, জেলা পুলিশ সুপার মো. আবু সাইম।

এসময় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, ‘আহত যোদ্ধাদের পাশে বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতিটি জেলায় আহতদের অর্থ সহায়তা দেয়া হবে। আজ রংপুরে ১৭২ জন আহত যোদ্ধাদেরকে অর্থ সম্মাননা দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে জুলাই আন্দোলনের প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ড ও নৃশংসতার বিচার হবে না ততদিন পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। একইসাথে যতদিন পর্যন্ত জুলাই শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন হবে না ততদিন জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।’

বিজ্ঞাপন

‘আবু সাঈদ-মুগ্ধদের মতো অসংখ্য তরুণের দুরন্ত সাহসের কাছে হার মেনেছে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন। জুলাইয়ে শুরু হওয়া রক্তাক্ত বিপ্লবের চূড়ান্ত পরিণতি পায় ৫ আগস্ট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ভাষায় যা ৩৬ জুলাই। সেই নামানুসারে গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত হয় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন উপস্থিত অতিথিরা।

প্রাথমিকভাবে প্রতিটি শহীদ পরিবারকে পাঁচ লাখ এবং আহত ব্যক্তিদের এক লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। গত ২ নভেম্বর থেকে ‘শহীদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ ব্যানারে এই সহায়তা দেয়া কার্যক্রম শুরু হয়।