'এনজিও পরিচালনাকারীরা এখন দেশ চালাচ্ছেন, তাদের অভিজ্ঞতা নেই'

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

'এনজিও পরিচালনাকারীরা এখন দেশ চালাচ্ছেন, তাদের অভিজ্ঞতা নেই'

'এনজিও পরিচালনাকারীরা এখন দেশ চালাচ্ছেন, তাদের অভিজ্ঞতা নেই'

যারা এখন দেশ পরিচালনা করছেন তাদের কারোরই দেশ চালানোর অভিজ্ঞতা নেই। তারা সবাই এনজিও পরিচালনা করেছেন। দেশ পরিচালনার বেশি অভিজ্ঞতা আছে বিএনপির। তারা যদি বিএনপির কাছ থেকে অভিজ্ঞতা নিতো তাহলে ফেনী-সিলেটের বন্যার পর উত্তরাঞ্চলের জন্য আগাম পদক্ষেপ নেওয়া যেতো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

রোববার (১৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে বিএনপির প্রচার দলের আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান থেকে বাংলাদেশকে বলা হয় গাঙ্গেয় উপদ্বীপ। গঙ্গা-যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের ত্রিমুখী অবস্থানের মধ্য বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান। এই কারণে বাংলাদেশ হয়েছে ভাটির দেশ। পাশ্ববর্তী দেশ ভারত চায়না নেপাল ভূটান এইগুলো হচ্ছে উজানের দেশ। যেকারণে আমাদের ক্ষণে ক্ষণে দুর্যোগে পড়তে হয়। এই দুর্যোগটা আরও বেশি কারণে দেখা যায় যখন প্রতিবেশি দেশ ভারত তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী গরমের দিনে আমাদের শুকিয়ে মারে আর বর্ষার দিনে আমাদের ডুবিয়ে মারে।

ভারতকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি এই নেতা বলেন, তাদের (ভারত) যুক্তি হচ্ছে আমাদের বাঁচার জন্য তারা এটা করে। ভারতের সঙ্গে পানির নায্য হিস্যা আমরা আজ পর্যন্ত করতে পারেনি। ফারাক্কা সমস্যা নিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রথম জাতিসংঘে বিচার চেয়েছিলেন। তারপর ভারত কিছুটা নমনীয় হয়েছিলো। ফারাক্কার অনুমোধ দিয়ে গেছিলেন মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান। তখন কথা ছিলো ৪০ দিন পরীক্ষামূলক চলবে। কিন্তু শেখ মুজিবুরের সরকার এত উদাসীন ছিলেন যেটা ৪০-৪৫ বছরেও শেষ হয়নি। যেটার বড় ভিক্টিম হচ্ছে বাংলাদেশ।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আজকে আমাদের যিনি প্রধান উপদেষ্টা আছে তিনি থ্রি জির কথা বলেছেন। এগুলো হলো- শূন্য কার্বন, শূন্য দারিদ্র ও শূন্য বেকারত্ব। কিন্তু কার্বন নিংসরণ যেখানে হয় তারাই তাকে নোবেল দিয়েছে। তাদের ক্ষমতায় আসার পর আগে যে কাজগুলো করা উচিত ছিলো সেটি তারা করতে পারেনি। তাদের মধ্যে সেই অভিজ্ঞতা নেই।

গাছ লাগানো নিয়ে তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রথম ট্রি প্লানটেশন করে গিয়েছে। তারপর করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সালে এমন কোন নেতাকর্মী নেই যারা ৫টি করে গাছ লাগান নাই। জেলা-উপজেলায় সড়কের পাশে যে গাছগুলো দেখছেন এইগুলো সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম করেছেন তিনি। 

সরকারের কিছু উপদেষ্টা ঘুম থেকে ওঠে সরকারে গিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এই সরকারের কিছু উপদেষ্টা ঘুম থেকে ওঠে সরকারের অংশ হয়ে গেছে। বন্যায় তারা সেই ধরনের তৎপরতা দেখাননি যা অত্যন্ত দু:খজনক। যেটা আজকে কষ্টের সঙ্গে বলতে হচ্ছে। আমরা মনে করি জবাবদিহিতার যে জায়গা সেটা বিএনপির মধ্য যতটা রয়েছে সেটা আমরা ধারাবাহিকভাবে প্রমাণ করে যাচ্ছি। 

হাওড় এলাকায় সড়ক নির্মাণ নিয়ে আলাল বলেন, গণমাধ্যমে খবর এসেছে মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতির ইচ্ছাপূরণে...কোটি টাকা প্রকল্প বিলাস। ফলে কি হয়েছে নেত্রকোনা হাওড় অঞ্চলে হাওড়ের মাঝখানে ফ্লাইওভার এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করেছেন। এখন কি হচ্ছে, বন্যার পানি যখন ধেয়ে এসেছে তখন আশেপাশের গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রাষ্ট্রের যা ক্ষতি তা হয়ে গেছে। আমাদের জনগণের যে ট্যাক্সের টাকা জমা হয়েছিলো তা প্রচন্ডভাবে অপব্যয় হয়েছে। আওয়ামী লীগ দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। রাষ্টপ্রতি থেকে ভগ্নিপতি এমন কেউ নাই যারা কুর্কীতির সাথে জড়িত নয়, এটা হচ্ছে রাজনৈতিক দূষণ।

আলোচনা সভায় প্রচার দলের সভাপতি মাহফুজ কবীর মুক্তার সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন চেয়ারপারসন উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।