দেশের সকল ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনা হিন্দুস্তানে বসে করছেন: ফারুক

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেছেন, বিএনপির একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি বলতে চাই, জনগণ গতকাল থেকে বলা শুরু করেছে দেশের সকল ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনা হিন্দুস্তান থেকে বসে বসে করা শুরু করেছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নেই। তবে তার প্রেতাত্মারা দেশে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করেছেন ছাত্র জনতা নাগরিক ঐক্য পরিষদ।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি ইসকন দ্বারা চট্টগ্রামে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে উদ্দেশ্য করে জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, সামান্য একটি বিষয় নিয়ে চট্টগ্রামে আমার এক বন্ধুকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আজকে বাংলাদেশে কিছু সংখ্যক লোক এই বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার প্রয়াস করছে।

ভারতকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কিসের ইঙ্গিত, কিসের আলামত। সেদিনতো দেখিনি, যেদিন আপনারা আমাদের মানুষকে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। প্রতিদিন যখন মানুষকে হত্যা করে বাংলাদেশে লাশ ফেলে দিচ্ছেন। তিস্তার পানি কোনোদিনও দেননি। আমাদের ন্যায্য হিস্যা কখনোই দেননি। সেই দেশের মানুষ সামান্য একটি বিষয় নিয়ে আজকে আপনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দেয়। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা ও অস্থিরতা এই সরকার সৃষ্টি করুক এটা আমরা কোনোদিনও চাই না। কিন্তু, উস্কানি দিচ্ছেন আপনার দেশে বসে থাকা শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা ও ভারতকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, তার (শেখ হাসিনা) বিরুদ্ধে ৫০০ এর অধিক মামলা রয়েছে। সেই মহিলাটি বাংলাদেশের মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করতেন না। বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষকে না খেয়ে মারার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। বাংলাদেশকে অঙ্গ রাজ্য বানানোর জন্য দৃঢ় চেষ্টা করেছিলেন। সেই শেখ হাসিনাকে আপনারা আবারও বিনা পাসপোর্টে আশ্রয় দিয়ে এখন ইসকনের নামে বাংলাদেশে যড়যন্ত্র করা শুরু করেছেন।

ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, আপনার ভয় নেই। এদেশের ১৮ কোটি মানুষ আপনার সাথে আছে। যারা আয়নাঘরে বন্দী ছিল, যেসব মায়ের বুক খালি হয়েছে তাদের কথা স্মরণ করে আপনি জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে নজরে আনেন। তা না হলে এদেশে শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা আপনাকে অশান্তিতে নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারাকে ব্যাহত করতে পারে বলে জনগণ মনে করছেন।