সন্ত্রাসী সংগঠন কীভাবে কর্মকাণ্ড চালায়, প্রশ্ন জামায়াত সেক্রেটারির

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অভিযুক্ত সংগঠনের নাম উল্লেখ না করে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, এ রকম একটি জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসী সংগঠনের কর্মকাণ্ড কি করে চলতে পারে? আমাদের দেশে আইন আছে। সে আইনের ভিত্তিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম সফরে এসে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।

বিজ্ঞাপন

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আলিফের নিষ্ঠুর ও বর্বররোচিত হত্যাকাণ্ডে পুরো দেশের মানুষ আজ স্তম্ভিত। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার দাবি করছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করছি।

দেশ একটি জাতীয় নির্বাচনের দিকে যখন জাতি অভিযাত্রা শুরু করেছে তখন সেটি বারবার বাঁধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে জানিয়ে জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে যখন দায়িত্ব হস্তান্তরের একটি নিউ ডাইমেনশনে যাত্রা শুরু করেছে। সেই মুহূর্তে এ তৎপরতা উদ্বেগজনক। এজন্য বার বার বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। সরকারের সামনে একের পর এক চ্যালেঞ্জ আসছে। শক্তভাবে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকবে। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি সবসময় নির্বাচনমুখী দল। আমাদের সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতো প্রস্তুতি আছে আলহামদুলিল্লাহ।

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে পতিত স্বৈরাচার সরকারের নেতাকর্মীরা জড়িত অভিযোগ তুলে মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন দেশবিরোধী যে ষড়যন্ত্র লিপ্ত হয়েছে সেখানে পতিত স্বৈরাচারের নেতা-কর্মীরা জড়িত। বিভিন্ন বেশ ধরে কারা এ শান্তিপূর্ণ দেশকে অরাজকতার দিকে নিয়ে যেতে চায়? আবার ফ্যাসিবাদের দিকে নিয়ে যেতে চায়? পুরো জাতির কাছে নানা প্রশ্ন এখন সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা আছে, আমি মনে করি আমাদের দেশের গোয়েন্দা সংস্থার আধুনিক প্রযুক্তির অনেক ইকুইপমেন্টস ও লজিস্টিক সাপোর্ট উন্নত প্রশিক্ষণ আছে এগুলোকে কাজে লাগিয়ে দেশকে শান্তি দেওয়ার জন্য তাদের সমস্ত ইর্পোট দিয়ে একুমেডেট করা উচিত। সেটি করলে মানুষ আশাবাদী হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মওলানা মোহাম্মদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাবেক আমীর ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য জাফর সাদেক, জামায়াত নেতা অধ্যাপক ড. আবু হানিফা নোমান ও চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াত ও শিবিরের নেতৃবৃন্দ।