বিএনপির লংমার্চে নেতাকর্মীদের ব্যাপক সাড়া
ভারতীয় আগ্রাসন ও ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠনের আখাউড়া অভিমুখে লংমার্চে নেতাকর্মীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখা গেছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এ লংমার্চ শুরু হয়। লংমার্চে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ ঢাকা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ ও বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা গাড়িবহর নিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন।
গাড়িবহর ঢাকা থেকে বের হওয়ার পর থেকে সড়কের দুই পাশে নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। তারা জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা নেড়ে, ফুল ছিটিয়ে গাড়িবহরকে স্বাগত জানান। এ সময় ‘দিল্লি না ঢাকা’, ‘ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতের দালালেরা’, ‘হুঁশিয়ার সাবধান’, এমন নানা স্লোগান দিতে থাকেন। নেতাকর্মীদের হাতে শোভা পাচ্ছে নানা স্লোগান সংবলিত ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড।
ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, মাতুয়াইল, সাইনবোর্ড, চিটাগং রোড, কাচপুর, তারাবো, নারায়ণগঞ্জ, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, মাধবদী, পাচদোনা, নরসিংদী, ইটাখোলা, বেলাবো, ভৈরব, আশুগঞ্জ, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ রাস্তার দুইধারে দাঁড়িয়ে লংমার্চকে স্বাগত জানান।
লংমার্চ চলাকালে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলার বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা এ সভায় অংশগ্রহণ করেন।
কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান সজীব বার্তা২৪.কমকে বলেন, ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে আমরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছি। সকল ভেদাভেদ ভুলে আমরা দেশের স্বার্থে এক এবং ঐক্যবদ্ধ।
সাবেক ছাত্রদল নেতা সাজিদ হাসান বাবু বলেন, ভারতীয় যেকোনো আগ্রাসন রুখে দিতে প্রস্তুত। শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আজকের এই লংমার্চ ভারতের মিথ্যা প্রোপাগান্ডার জবাব।