সংস্কারের আড়ালে দুর্দশা উপেক্ষিত থাকলে জনগণই মুখ খুলবে: তারেক রহমান

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

সংস্কার কর্মসূচির আড়ালে জনগণের নিত্যদিনের দুর্দশা উপেক্ষিত থাকলে জনগণ হয়তো খোদ সরকারের সংস্কারের দাবি নিয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বুধবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তারেক রহমান বলেন, মাফিয়া প্রধানের (শেখ হাসিনা) পালিয়ে যাবার পর প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সামনে এইবার জনগণের কাঙ্খিত বৈষম্যহীন মানবিক দেশ করার লক্ষ্য এসেছে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের সামনে যার যার দলীয় আদর্শ, কর্মসূচি উপস্থাপন করবে। জনগণের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করবে। এটিই গণতান্ত্রিক নীতি। গণতান্ত্রিক বিশ্বের স্বাভাবিক ও স্বতঃসিদ্ধ নিয়ম।

এমন অবস্থায় কোন কোন মহল থেকে সংস্কার না নির্বাচন এই জিজ্ঞাসাকে বিএনপি, দেশপ্রেমিক সকল মানুষ, দেশের সকল রাজনৈতিক দল স্রেফ অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত কু তর্ক বলে মনে করে। বরং আমাদের দল বিএনপি মনে করে রাষ্ট্র, রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলের গুনগত পরিবর্তনের জন্য সংস্কার ও নির্বাচন উভয় প্রয়োজন। বিদ্যমান ব্যবস্থাকে সময়োপযোগী করতে সংস্কার একটি অনিবার্য প্রক্রিয়া। একইভাবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে টেকসই ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নির্বাচনই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও কাঙ্খিত পন্থা- জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশের জনগণ ভোটের অধিকার প্রয়োগের সুযোগ পায় যেটি রাষ্ট্র ও জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করে।

তিনি বলেন, বিএনপি মনে করে, রাষ্ট্রের জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করা না গেলে মানবাধিকার, গণতন্ত্র বা পুথিগত সংস্কার কোন কিছুই টেকসই হয় না। অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। সংস্কার অবশ্যই প্রয়োজন। এইকারণেই হয়তো অন্তর্বর্তী সরকার তাদের দৃষ্টিতে বড় বড় সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তবে এসব কর্মসূচির আড়ালে জনগণের নিত্যদিনের দুর্দশা উপেক্ষিত থাকলে জনগণ হয়তো খোদ সরকারের সংস্কারের দাবি নিয়ে মুখ খুলতে বাধ্য হবে। 

ইতিমধ্যে জনগণের মনে প্রশ্ন উঠেছে পতিত স্বৈরাচারের আমলে সৃষ্ট বাজার সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে সরকার কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে? ফ্যাসিস্ট আমলে দায়েরকৃত লক্ষ লক্ষ মামলায় এখনো কেন অকারণে মানুষকে আদালতের বারান্দায় চড়ে বেড়াতে হচ্ছে। দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিএনপি বার বার সে কথাটি জোড় দিতে চায়, সেটি হল, অন্তর্বর্তী সরকার তাদের সংস্কার কিংবা তাদের গৃহীত পরিবর্তনে অগ্রাধিকার ব্যর্থতার পরিচয় দিলে ষড়যন্ত্রকারীরা ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট বিনষ্ট করার সুযোগ নিবে। এরই মধ্যে তারা একাধিকবার দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছে।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিমুদ্দিন আলম, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব প্রমুখ।