গায়ানাকে হারিয়ে ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল রংপুর
প্রথম দুই ম্যাচে হেরে চাপে ছিল রংপুর রাইডার্স। গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা টিকিয়ে গায়ানার আমাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে জিততেই হতো বাংলাদেশের এই ফ্রাঞ্চাইজির। বাংলাদেশ সময় আজ বৃহস্পতিবার সকালে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া সেই ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
প্রভিডেন্সে গায়ানার মাঠে গায়ানাকেই ১৫ রানে হারিয়ে ফাইনালের ওঠার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে রংপুর। আগের দুই ম্যাচে ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ার হকস ও অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ার কাছে হারের ধাক্কাটাও সামলে নিয়েছে তারা।
তবে ফাইনালে উঠতে সামনে আরেকটা ডু অর ডাই ম্যাচ বাংলাদেশের। শুক্রবার সকালে (বাংলাদেশ সময়) পাকিস্তানের লাহোর কালান্দার্সকে হারাতেই হবে তাদের। তাহলেই প্রথমবারের মতো খেলতে যাওয়া গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনালে পা রাখতে পারে রংপুর রাইডার্স। যদিও জয়ের পর নেট রান রেটের সমীকরণও মিলতে হবে।
পাঁচ দলের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ হওয়ায় রংপুরের এই সমীকরণ মেলানো সহজও হতে পারে। যদিও সেটি শুক্রবারের ম্যাচের পরই জানা যাবে।
আজ বহৃস্পতিবার এই লিগ ম্যাচে জিতে শুরুতেই ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন রংপুরের অধিনায়ক সোহান। এরপরই ভয়াবহ চাপে পড়ে দলটি। গায়ানার দুই পেসার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ও তানজিম হাসান সাকিব চেপে ধরেন। মাত্র ১৪ রানেই ৪ উইকেট শেষ রংপুরের। দক্ষিণ আফ্রিকান প্রিটোরিয়াস প্রথম ৩টি উইকেট নেন। সৌম্য সরকারকে (২) আউট করেন বাংলাদেশের পেসার তানজিম সাকিব। এক পর্যায়ে ৫ উইকেট হারিয়ে রংপুরের স্কোর দাঁড়ায় ২৭।
তারপর ৬১ রানের জুটি গড়েন খুশদিল শাহ ও নুরুল হাসান সোহান। খুশদিল ৪৭ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫৮ রান করে ফেরেন সাজঘরে। রংপুর অধিনায়ক ২৬ বলে তুলেন ১৫ রান। রংপুর ২০ ওভারে অলআউট ১১৭ রানে। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে বাংলাদেশের তানজিম সাকিব তুলেন ২ উইকেট।
জবাবে নেমে গায়ানা ২৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে। তারপর ১৯.১ ওভারে ১০২ রানে অলআউট হয় তারা। ৪৪ বলে ৩৫ রান করে শাই হোপ। রংপুরের কামরুল ইসলাম ১৩ রানে নেন ৪ উইকেট। স্পিনার হারমিত সিং ১২ রানে তুলেছেন ৩ উইকেট। রিশাদ হোসেন নিয়েছেন ১ উইকেট। সেটি শাই হোপের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
রংপুর রাইডার্স: ২০ ওভারে ১১৭/১০ (টেলর ০, সৌম্য ২, সাইফ ৮, ম্যাডসেন ৪, শেখ মেহেদি ৩, খুশদিল ৫৮, সোহান ১৫, রিশাদ ১০, হারমিত ১১, চ্যাপেল ২, কামরুল ১*; প্রিটোরিয়াস ৪-০-১৫-৩, তানজিম ৪-০-২১-২, শেফার্ড ৪-০-২৭-১, তাহির ৪-০-২৪-২, মোটি ২-০-১৭-২, চেইস ১-০-৮-০, মঈন ১-০-৫-০)।
গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স: ১৯.১ ওভারে ১০২/১০ (মঈন ৫, প্রিটোরিয়াস ১, হোপ ৩৫, হেটমায়ার ০, হেইস ৯, হাসান ১, মোটি ১৫, পল ১৮, তাহির ২, শেফার্ড ৯, তানজিম ২*; চ্যাপেল ২-০-১৩-০, কামরুল ৩.১-০-১৩-৪, হারমিত ৪-০-১২-৩, রিশাদ ৪-০-২২-১, শেখ মেহেদি ৩-০-২২-১, খুশদিল ৩-০-২২-০)।
ফল: রংপুর রাইডার্স ১৫ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: খুশদিল শাহ।